সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
২০২২ সালের মধ্যে চাঁদে ফোর-জি বা ‘এলটিই’ নেটওয়ার্কের পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এর জন্য তাঁরা গাটছড়া বেঁধেছেন ফিনল্যান্ডের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা নোকিয়ার সঙ্গে। নোকিয়ার রিসার্চ উইং বেল ল্যাবস-কে গোটা পরিকাঠামোটি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে নাসা। এর জন্য ১৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থও বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারবিহীন ফোর-জি এলটিই ইন্টারনেট পরিষেবার উপযোগী পরিকাঠামো গড়া হবে। তবে পরবর্তীকালে সেটাকে ফাইভ-জি’তে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে ট্যুইট করে জানিয়েছে বেল ল্যাবস। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রশংসা করে একাধিক ট্যুইট বার্তায় তারা জানিয়েছে, নাসার নিজস্ব ল্যান্ডার ২০২২ নাগাদ যন্ত্রপাতি চাঁদে পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের এই চন্দ্রপৃষ্ঠে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো গড়ার কর্মযজ্ঞে শামিল হতে পেরে বেল ল্যাবস গর্বিত। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মহাকাশে ‘ডেটা ট্রান্সমিশন’ বা তথ্য আদান-প্রদানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। তখন চাঁদে হেঁটে বেড়ানো রোভারকে নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে চাঁদের ভূগোল অনুযায়ী রিয়েল টাইম নেভিগেশন পাওয়া সবই হবে নিমেষে। তীব্র তাপ, তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ মাধ্যাকর্ষণ বলহীন পরিবেশ এবং উৎক্ষেপণ ও অবতরণের সময়ের ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনি সহ্য করার উপযোগী করেই যাবতীয় যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ চাঁদে ফোর জি কেন? এর কারণ অনুস্ন্ধান করে জানা গিয়েছে, আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা। এই বহুচর্চিত প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল চাঁদে মানুষের দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা। তার জন্য সম্প্রতি ১৪টি সংস্থাকে ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থও দিয়েছে নাসা। মূলতঃ চাঁদে শক্তি উৎপাদন, তার সঞ্চয় ও মজুত করে রাখার পরিকাঠামো, ক্রায়োজেনিক ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট, ওয়ারলেস নেটওয়ার্কিং ইত্যাদির উপর কাজ করছে ওই সংস্থাগুলি। নোকিয়ার বেল ল্যাবস তেমনই এক সংস্থা। তাহলে একেবারে ফাইভ জি নিয়ে আসলেই তো হত? নোকিয়ার চিফ টেকনোলজি অফিসার মার্কাস ওয়েল্ডনের এবিষয়ে সহাস্য উত্তর, ফাইভ জি এখনও অতটা পরীক্ষিত নয়। সেই তুলনায় ফোর জি অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। তাই এই পদক্ষেপ।