বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছিল। নাম ছিল, ‘মেইন্টেনেন্স অব ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি আপহোল্ডিং দ্য ইউনাইটেড নেশনস চার্টার’। অর্থাৎ, রাষ্ট্রসঙ্ঘের দলিল মেনে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলে পাকিস্তান। বিশেষ করে ৩৭০ ধারা রদ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ আটকাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিযুক্ত সেদেশের রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রম। কাশ্মীর উপত্যকার মানুষদের প্রতি নয়াদিল্লি অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তারপরেই জবাবি ভাষণে পাকিস্তানকে এক হাত নিতে তেড়েফুঁড়ে নামে ভারত। ইসলামাবাদকে আক্রমণ করে আকবরউদ্দিন বলেন, পাকিস্তানের উচিত মিথ্যের আশ্রয় ছেড়ে নিজের দেশের রোগ সারানো। রণংদেহি মেজাজে তিনি বলেন, ‘একজন প্রতিনিধি এখানে আছেন, যাঁরা শুধু মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে নিজেদর তত্ত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, আমরা সবসময়ই সেটাকে খারিজ করে দিই। দেরি হয়ে গেলেও প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রতি আমার পরামর্শ, আগে আপনার নিজের রোগ সারান। আপনাদের মিথ্যে তত্ত্ব শোনার জন্য এখানে কেউ নেই।’
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে বরাবরই রাষ্ট্রসঙ্ঘে সরব হয়েছে ভারত। কিন্তু, তারপরেও সীমান্তপারের সন্ত্রাসে লাগাম পড়েনি। এদিনও সেকথা তুলে ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৫ সদস্য দেশের নিরাপত্তা পরিষদকে এক হাত নেন আকবরউদ্দিন। তিনি মন্তব্য করেন, পরিষদ তার কাজ, প্রাসঙ্গিকতা, পরিচয় এবং ঐতিহ্যের সঙ্কটে ভুগছে। আকবরউদ্দিনের কথায়, ‘জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিশ্বায়ন, নয়া প্রযুক্তির অস্ত্র কারবার, যারা সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, তাদের দমনে ব্যর্থতা নিরাপত্তা পরিষদের দুর্বলতাই প্রমাণ করছে।’
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয় মোদি সরকার। এবং রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল — জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে পরিণত করে। তারপর থেকেই এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে সমর্থন আদায় করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু, কখনই সফল হয়নি। উল্টে আন্তর্জাতিক মহলকে ভারত জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা বাতিল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেইসঙ্গে পাকিস্তানকে বলেছিল, বাস্তবতা মেনে সব ধরনের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করুন। যদিও, তা না করে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করে ইসলামাবাদ। বহিষ্কার করে দেয় ভারতের হাই কমিশনারকে।