বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
ওয়াশিংটন, ১৩ ডিসেম্বর (এএফপি): টানা ১৪ ঘণ্টা ম্যারাথন বিতর্ক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় শুক্রবার ভোটাভুটি করতে সম্মত হলেন ডেমোক্র্যাটরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ তুলে তাঁর ইমপিচমেন্ট বা অপসারণ দাবি করেছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, নির্বাচনে জিততে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাজনৈতিক সাহায্য নিয়েছিলেন ট্রাম্প। জো বিডেন সহ ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরাশায়ী করতে এই ‘ইউক্রেন তাস’ ট্রাম্পকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছিল। কিন্তু, ট্রাম্পের এই ভূমিকা দেশের সংবিধান এমনকী প্রেসিডেন্টের পাঠ করা শপথবাক্যেরও পরিপন্থী বলে দাবি করেন বিরোধীরা।
এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির অধিবেশন বসেছিল। সেখানে যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত বিতর্ক চলে। টিভিতে যার সরাসরি সম্প্রচারও হয়। বিতর্কের শেষপর্যায় আচমকাই কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার ইমপিচমেন্ট নথির দু’টি অনুচ্ছেদের উপর ভোটাভুটি স্থগিত করার কথা ঘোষণা করে দেন। ন্যাডলার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পেশ করা তথ্যপ্রমাণগুলিতে কমিটির সদস্যদের ‘বিবেক অনুসন্ধান’ করার সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
চেয়ারম্যান ন্যাডলারের এহেন সিদ্ধান্তে হতবাক রিপাবলিকানরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেন। ন্যাডলারের বিরুদ্ধে ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা বেআইনি আদালত চালানোর অভিযোগ করেন রিপাবলিকানরা। যদিও ডেমোক্র্যাট সদস্য জেমি রাস্কিন দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় অভিযুক্ত হতে তাঁরা রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুরো বিষয়টা দিনেরবেলা হোক। যাতে কী হচ্ছে, সেটা যেন সকলেই দেখতে পারেন।’ বিতর্কসভার লাইভ সম্প্রচারে দেখা গিয়েছে, বিতর্কের শুরু থেকেই রিপাবলিকানরা একের পর এক প্রশ্নবাণে ডেমোক্র্যাটদের জর্জরিত করে ফেলেন। রিপাবলিকানরা অভিযোগ তোলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি ডেমোক্র্যাটরা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা থেকেই ডেমোক্র্যাটরা এই অভিযোগ করছেন বলেও দাবি করা হয়। এমনকী জো বিডেনের পুত্রের (যিনি ইউক্রেনের একটি এনার্জি কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন) প্রসঙ্গ তুলেও ডেমোক্র্যাটদের এদিন একহাত নেন রিপাবলিকানরা। সাংসদ অ্যান্ডি বিগস বলেন, ‘আপনারা ওঁকে ভোটে হারাতে পারবেন না। সেটা বুঝতে পেরেই এখন ইমপিচমেন্টের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।’ পাল্টা ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ম্যারি গে স্ক্যানলন বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের কুকীর্তিগুলির প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের নিজের স্বীকারোক্তি রয়েছে, তাঁর নিযুক্ত কর্মী-আধিকারিকদের বয়ান রয়েছে। আর কত প্রমাণ চাই আপনাদের! এরপরও যদি আপনারা পরবর্তী ঘটনাবলি দেখতে না চান, তাহলে বালিতে মাথা গুঁজে থাকা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।’
এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির অধিবেশন বসেছিল। সেখানে যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত বিতর্ক চলে। টিভিতে যার সরাসরি সম্প্রচারও হয়। বিতর্কের শেষপর্যায় আচমকাই কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার ইমপিচমেন্ট নথির দু’টি অনুচ্ছেদের উপর ভোটাভুটি স্থগিত করার কথা ঘোষণা করে দেন। ন্যাডলার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পেশ করা তথ্যপ্রমাণগুলিতে কমিটির সদস্যদের ‘বিবেক অনুসন্ধান’ করার সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
চেয়ারম্যান ন্যাডলারের এহেন সিদ্ধান্তে হতবাক রিপাবলিকানরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেন। ন্যাডলারের বিরুদ্ধে ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ বা বেআইনি আদালত চালানোর অভিযোগ করেন রিপাবলিকানরা। যদিও ডেমোক্র্যাট সদস্য জেমি রাস্কিন দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় অভিযুক্ত হতে তাঁরা রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পুরো বিষয়টা দিনেরবেলা হোক। যাতে কী হচ্ছে, সেটা যেন সকলেই দেখতে পারেন।’ বিতর্কসভার লাইভ সম্প্রচারে দেখা গিয়েছে, বিতর্কের শুরু থেকেই রিপাবলিকানরা একের পর এক প্রশ্নবাণে ডেমোক্র্যাটদের জর্জরিত করে ফেলেন। রিপাবলিকানরা অভিযোগ তোলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি ডেমোক্র্যাটরা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা থেকেই ডেমোক্র্যাটরা এই অভিযোগ করছেন বলেও দাবি করা হয়। এমনকী জো বিডেনের পুত্রের (যিনি ইউক্রেনের একটি এনার্জি কোম্পানির বোর্ডে রয়েছেন) প্রসঙ্গ তুলেও ডেমোক্র্যাটদের এদিন একহাত নেন রিপাবলিকানরা। সাংসদ অ্যান্ডি বিগস বলেন, ‘আপনারা ওঁকে ভোটে হারাতে পারবেন না। সেটা বুঝতে পেরেই এখন ইমপিচমেন্টের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।’ পাল্টা ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ম্যারি গে স্ক্যানলন বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের কুকীর্তিগুলির প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। প্রেসিডেন্টের নিজের স্বীকারোক্তি রয়েছে, তাঁর নিযুক্ত কর্মী-আধিকারিকদের বয়ান রয়েছে। আর কত প্রমাণ চাই আপনাদের! এরপরও যদি আপনারা পরবর্তী ঘটনাবলি দেখতে না চান, তাহলে বালিতে মাথা গুঁজে থাকা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।’
