ইসলামাবাদ, ১২ নভেম্বর (পিটিআই): প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমাদনের আগে বিস্তারিত আলোচিত হল বিশেষ সাব-কমিটির বৈঠকে। পাক সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত শরিফের নাম এখনও রয়েছে দেশের ‘নো ফ্লাই’ তালিকায়। রবিবার সকালেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানে লন্ডন উড়ে যাওয়ার কথা ছিল শরিফের। কিন্তু, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-র চেয়ারম্যান জাভেদ ইকবাল প্রয়োজনীয় ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় ‘নো ফ্লাই’ তালিকা থেকে শরিফের নাম বাদ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই, পরিবারের অনুরোধে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যেতে রাজি হলেও শরিফ এখনও পাকিস্তান ছাড়তে পারেননি। মঙ্গলবারের বিশেষ বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী ফারোগ নাসিম। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহকারি (অ্যাকাউন্টাবিলিটি) শাহবাজ আকবর এবং অভ্যন্তরীণ সচিব। বৈঠকে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরিফের ব্যক্তিগত চিকিৎসক আদনান খান ও আইনজীবী আতাউল্লা তারার এবং ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরোর প্রতিনিধিরা। এই বিশেষ কমিটির বৈঠকে শরিফের বিদেশে চিকিৎসার আইনি এবং মেডিক্যাল দিকটি খতিয়ে দেখা হয়। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সূত্রে খবর, ইমরানের মন্ত্রিসভার কেউ কেউ চান না যে শরিফকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ, নির্বাচনী প্রচারে ইমরানের দলের মূল স্লোগান ছিল, সব দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের জেলে পোরা। পাকিস্তানের জলসম্পদমন্ত্রী ফয়জল ওয়াদা ট্যুইট করে চিকিৎসার জন্য শরিফের লন্ডনের যাওয়ার বিরোধিতা করেছেন। শরিফের মেয়ে মারিয়ামের উদ্দেশে তিনি ট্যুইট করেছেন, ‘পাকিস্তানের সম্পত্তি লুট করে পলাতক আত্মীয়রা যেখানে রয়েছে, আব্বু (নওয়াজ) ও চাচা (শাহবাজ) সেখানেই যাচ্ছেন।’ পাকিস্তানের বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি সংবাদমাধ্যমে সরাসরি শরিফকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতির বিরোধিতা করেছেন। ইতিমধ্যে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর মুখপাত্র মারিয়াম আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, ‘ক্রমেই শরিফের অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। খারাপ কিছু ঘটে গেলে তার জন্য দায়ী থাকবে পাক সরকার।’