যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
জাতীয় সড়ক বা রেলপথে ধস। যার ফলে জ্বালানিতে টান। প্রতি বর্ষাতেই এই পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত ত্রিপুরা। কিন্তু এবার বৃষ্টি শুরুর আগে ভয়াবহ পরিস্থিতি। নেপথ্যে অতিবৃষ্টির কারণে অসমের ডিমাহাসাও পাহাড়ি রেলপথ জাটিঙ্গা-লামপুর এবং হারাঙ্গাজাও স্টেশনের মধ্যবর্তী অংশে রেলপথে ধস। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টান পড়ে জ্বালানিতে। ৩০ এপ্রিল খাদ্যদপ্তরের তরফে জ্বালানি সংগ্রহে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছিল। এরপর থেকেই পেট্রল পাম্পগুলিতে দীর্ঘ লাইন। কারণ বেশিরভাগ পাম্পই পেট্রল, ডিজেল শূন্য। খাদ্য এবং পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে প্রতিনিয়ত ইন্ডিয়ান ওয়েল এবং রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যেন ফায়দা লুটতে না পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে দপ্তরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতার প্রশ্ন, একটি রাজ্যের রাজধানীতে ন্যূনতম কয়েকদিনের জ্বালানি তেল মজুত থাকবে না কেন?
এই পরিস্থিতিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। রেলমন্ত্রীর তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে ২-৩ দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ সারানোর কাজ এখনও চলছে। ফলে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেটাই প্রশ্ন ত্রিপুরাবাসীর। কারণ, ততদিন পেট্রল-ডিজেলের খোঁজে হন্যে হতে হবে আম জনতাকে।