সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
তবে সবথেকে বেশি জল্পনা বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের লকডাউনের পরামর্শটি। যদিও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে আমাদের আবেদন, ভিড় এবং সুপার স্প্রেডার অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুন। প্রাণঘাতী ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ রুখতে, জনকল্যাণের স্বার্থে প্রয়োজনে লকডাউনের বিষয়টিও আপনারা ভেবে দেখতে পারেন।’ তার পাশাপাশিই অবশ্য শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, লকডাউনের আর্থ-সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আমরা অবহিত। বিশেষত প্রান্তিক মানুষের জীবনে এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। সেক্ষেত্রে লকডাউন জারি করলে তাঁরা যাতে সমস্যার মুখে না পড়েন সেদিকে নজর রাখতে হবে।
যদিও একই টিকাকরণ কর্মসূচিতে দু’রকম নীতির বিষয়টিতে প্রবল সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের দু’রকম টিকা নীতি ক্ষতিকারক। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার বিষয়টি সরকারের বিবেচনা করা উচিত। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, কেন্দ্রই যাবতীয় টিকা কিনে রাজ্যকে বণ্টন করুক। কারণ, রাজ্যগুলি সরাসরি টিকা কোম্পানির সঙ্গে দরাদরি করলে বিষয়টি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে দাঁড়াবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সমালোচনার পরেই সরকারি ব্যবস্থায় করোনার টিকাকরণে উদ্যোগ বাড়াল কেন্দ্র। আগামী তিন মাসের জন্য ১৬ কোটি ডোজ কেনার বরাত দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যার দাম পড়বে ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, মে থেকে জুন, এই তিন মাসের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ১১ কোটি ‘কোভিশিল্ড’ ডোজ কেনা হচ্ছে। তার জন্য ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়াও হয়ে গিয়েছে। একইভাবে ভারত বায়োটেকের থেকে ৫ কোটি ডোজ ‘কোভ্যাকসিন’ কিনতে ৭৭২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে মোদি সরকার। শীঘ্রই ডোজ আসা শুরু হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে ১৬ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ সরবরাহ করেছে কেন্দ্র। তবে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার দায়িত্ব আপাতত রাজ্যের কাঁধেই থাকছে। তার জন্য ভ্যাকসিন কিনতে হবে রাজ্যকেই।