সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
২৩৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৫৯টি আসন দখল করেছে ডিএমকে-জোট। অর্থাৎ, দুই তৃতীয়াংশ আসন। তবে, এই জয় রাতারাতি আসেনি। এআইএডিএমকে-বিজেপি জোট তামিল জাত্যাভিমান বিরোধী দাবি করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন স্ট্যালিন। সেই লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষা আইন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, কৃষি আইন এবং শিক্ষাকে সংবিধানের রাজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির মতো বিষয়গুলিকে ঢাল করেন। আর এভাবেই রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডিএমকের প্রেসিডেন্ট। হয়ে উঠেছিলেন তামিলবাসীর ‘নয়নের মণি’। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘জনবিরোধী’ তকমা সেঁটে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন স্ট্যালিন।
২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১০ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরি করেছিলেন স্ট্যালিন। সেখানে সাত দফা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি বাড়ির মহিলা প্রধানকে মাসে একহাজার টাকা ভাতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ডিএমকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভোট প্রচারে ঝড় তুলেছেন স্ট্যালিন-পুত্র তথা যুব সভাপতি উদয়ানিধি এবং মহিলা শাখার সম্পাদক তথা বোন কানিমোঝি। আর তাতেই এআইএডিএমকে দলকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছে ডিএমকে। এই জয়ের পর স্ট্যালিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘তামিলনাড়ুর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেব থিরু এম কে স্ট্যালিনকে অভিনন্দন জানাই।’ ধন্যবাদজ্ঞাপন করে স্ট্যালিন পাল্টা বলেছেন, তামিলনাড়ুর উন্নয়নে আপনার উপদেশ ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিপুল ভোটে জিতলেও দলের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান খুব সাদামাটা ও ছোট হবে বলে জানিয়েছেন স্ট্যালিন। তাঁর কথায়, করোনা পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এআইএডিএমকে জোট জিতেছে ৭৫টি আসনে। ১০ বছর রাজ্য শাসনের পর এবার তাদের বিরোধী আসনে বসতে হবে। এই পরিস্থিতিতেও ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি তারা। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ও পনিরসেলভাম বলেছেন, আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। এবার থেকে আমাদের বিরোধী দল হিসেবে আরও বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে।