সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
অসমে দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির জয়ের প্রধান কারিগর হিসেবে মনে করা হচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক শক্তিকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও জয়ে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। দু’জনের মধ্যে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে দলের দোলাচল। ২০১৬ সালে অসমে বিজেপি সরকার গড়লেও নিজেদের দলে এমন কোনও নেতা ছিলেন না যাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো যায়। তাই অসম গণ পরিষদ থেকে আসা সর্বানন্দ সোনেওয়ালকে বাছাই করা হয়। তিনি গত পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এনআরসি বস্তুত তাঁরই উদ্যোগ। অন্যদিকে কংগ্রেস ছেড়ে দলে আসা হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপিতে এসেই সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোয় মন দেন এবং দ্রুত সাফল্য পান। তিনি এই সরকারের অর্থমন্ত্রী হন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বনাম অর্থমন্ত্রীর ইগোর লড়াই শুরু হয়ে যায়। এবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রার্থী হতে চাননি। তাঁকে প্রায় জোর করেই রাজি করানো হয়। তিনি ভোটে জয়ী হয়েছেন এবং দলকেও জিতিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এবার অসমে বিজেপির যত বিধায়ক জয়ী হয়েছেন, তার সিংহভাগই হিমন্ত বিশ্বশর্মার অনুগামী অথবা শিবিরের। রবিবার ভোটের ফলপ্রকাশের পরই অসমজুড়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে এবার মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সর্বানন্দ সোনেওয়ালেরই হওয়ার কথা। কারণ তিনিই গত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর নেতৃত্বেই দল জয়ী হয়েছে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে কিং মেকার বলা হয়ে থাকে। কিন্তু তিনি একের পর এক নির্বাচনে শুধুই বিজেপিকে জিতিয়ে যাবেন, কিন্তু নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না, এটা তাঁর অনুগামীদের পছন্দ নয়। সেই কারণে প্রকাশ্যেই দাবি করা হচ্ছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হোক। অসম বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও দোলাচল নেই। দলের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই এই সিদ্ধান্ত নেবে।