অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ভারতে ইন্টারপোল কাজ করে সিবিআইয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। তাদের এই সতর্কবার্তা পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মধ্যে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে এর আগেই দুই দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৈঠক হয়েছে। তাতে স্থির হয়েছিল, ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জায়গায় কড়া পাহারা থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিস যৌথভাবে এই পাহারা দেবে। কিন্তু জৈব সন্ত্রাসের আতঙ্কের পাশাপাশি জাল ভ্যাকসিনের উদ্বেগ নতুন করে দেখা দেওয়ায় কপালে ভাঁজ বেড়েছে কেন্দ্রের। ইন্টারপোলের বার্তা নিয়ে আগামী সপ্তাহেই রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে ভারতে ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলিকেও। এই অতি তৎপরতার কারণ? একমাসের মধ্যেই আসতে চলেছে ভ্যাকসিন। বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য ও দিল্লির এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া তেমনই আশা দেখিয়েছেন। বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনগুলির পরীক্ষা রিপোর্ট এবং বিভিন্ন স্তরের ডেটা যথেষ্ট ইতিবাচক। তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল, ট্রায়ালে তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বিপজ্জনক প্রবণতা দেখা যায়নি। ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও সাফল্যহার নিয়ে কোনওরকম আপস করা হবে না।’ এইমস ডিরেক্টর আরও জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর অথবা আগামী মাসের শুরুতেই আপৎকালীন প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন এসে যাবে। এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী তাদের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন। কোনও বড়সড় সমস্যা হয়নি। সেই কারণে আরও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে যে, টিকা আসছে শীঘ্রই। কোল্ড চেইন, স্টোরহাউস এবং সিরিঞ্জ সাপ্লাই নিয়েও রাজ্যগুলির সঙ্গে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।
সুতরাং একটা বিষয় নিশ্চিত, যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।