অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংগঠনটি নিজেদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলে দাবি করে। খাতায়-কলমে তারা দেখায়, গরিব শিশুদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে তারা বিভিন্ন রকম সাহায্য করে। পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষদেরও আর্থিক সাহায্য করে থাকে। দুবাই ও সৌদি আরব থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য তারা পেয়ে থাকে। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, বাস্তবে এই সংগঠন কী কাজ করে, তা ধোঁয়াশা ছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলে পিএফআই টাকার জোগান দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। দিল্লিতে হিংসার সময়েও এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। এর ভিত্তিতে দিল্লিতে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং আইনে মামলা রুজু করে ইডি।
তদন্তে উঠে আসছে, এ রাজ্যেও বিক্ষোভের পিছনে ছিল বিতর্কিত ওই সংগঠনটি। পিএফআই-এর স্থানীয় নেতারাই মদত দিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের। দুবাই সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা টাকা একাধিক হাত ঘুরে তা এসেছিল সংগঠনের এই রাজ্যের নেতাদের কাছেও। এমনকী তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ওই টাকা। সেই টাকাই কাজে লেগেছে বিক্ষোভের সময়। এমনকী কিছু টাকা সরাসরি বিদেশ থেকে এ রাজ্যের নেতাদের কাছেও পাঠানো এসেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দিল্লি, কেরল সহ বিভিন্ন রাজ্যেও সেই টাকা গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, দুঃস্থদের সাহায্যের জন্য পাঠানো টাকা দেশবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী জেহাদি সংগঠনের কাছে টাকা যাচ্ছে এই সংগঠনের মাধ্যমে, এমনটাই দাবি ইডির। সেকারণে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার সহ আটটি রাজ্যের ২৬টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে, পিএফআইয়ের চেয়ারম্যান ও এম সালান ট্যুইট করে জানিয়েছেন, তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। এটা বিজেপি সরকারের যড়যন্ত্র। কৃষক আন্দোলন থেকে মুখ ঘোরাতে চাইছে তারা। একটি তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ন্যায়ের জন্য তাঁদের লড়াই চলবে।