অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কৃষক প্রতিনিধিদের সোজা সওয়াল, এমএসপি ইস্যুতে মৌখিক বক্তব্যকে লিখিতভাবে জানাতে সরকারের এত কার্পণ্য কেন? সরকারের পাল্টা জবাব, এতদিন তো কোনও আইন ছাড়াই চলে এসেছে এমএসপি। ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। তাহলে কৃষকদের এই জেদ কেন? বিরোধী দলগুলি তাঁদের ভুল বোঝাচ্ছে বলেও কৃষকদের মন ঘোরানোর চেষ্টা করে কেন্দ্র। কৃষক সংগঠনও জানিয়ে দেয়, এই আন্দোলনে রাজনৈতিক মদত নেই। এটা সম্পূর্ণ রুটি, রোজগারের বিষয়।
বলা বাহুল্য, এদিনও সমাধান না মেলায় নয়া কৃষি আইন নিয়ে আরও কোণঠাসা মোদি সরকার। কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের আনা তিনটি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, আন্দোলন তো চলছিলই, এবার রাজনৈতিক দলগুলিও সুযোগ বুঝে খড়্গহস্ত হচ্ছে। সরাসরি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ না নিয়েও নরেন্দ্র মোদিকে চাপে ফেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধীর মতো বিরোধী নেতানেত্রীরা। ওদিকে অবস্থা কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে গত তিনদিনে ঘনঘন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমারের মতো মন্ত্রীরা। ঘন ঘন রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।
আবার এই ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ‘পদ্ম বিভূষণ’ সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলে ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিরোমণি অকালি দলের শীর্ষ নেতা প্রকাশ সিং বাদল। তাঁকে অনুসরণ করে ‘পদ্মভূষণ’ ফিরিয়ে দিচ্ছেন অকালি দলের রাজ্যসভার এমপি সর্দার সুখদেব সিং ধিংসাও। হরিয়ানাতেও বিজেপি সরকারের অন্দরে বিদ্রোহ বাড়ছে। এদিন বিজ্ঞান ভবনে কৃষক সংগঠনের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের আগে অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতে চাপ বাড়িয়ে গেলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, দ্রুত সমস্যা মেটান। নাহলে পাঞ্জাব তো বটেই, গোটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়তে পারে। এমএসপি এবং মান্ডি ব্যবস্থা যাতে অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করার উপরও জোর দিয়েছেন তিনি। ওই চাপের রেশ কাটতে না কাটতেই কৃষি আইন ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে শীঘ্রই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ডাকতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, কালা কানুন বাতিল করা ছাড়া কোনও পথ নেই। অন্যথায় কৃষকদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।