প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
রেলের এই বিবৃতিতেই ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেনের মতো বেশি ভাড়ার সুবিধা নেই বলেই কি এতটা অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে? দু’দিন আগেই মহারাষ্ট্রের ভাসাই রোড থেকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পৌঁছে গিয়েছিল ওড়িশার রাউরকেল্লা স্টেশনে। তাতে সমস্যায় পড়েছিলেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। সম্প্রতি একই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু থেকে বস্তিগামী আরেকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনেও। রুট পাল্টে সেটি চলে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। বিশাখাপত্তনম থেকে বিহারগামী অন্য একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনে প্রায় ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেছে। যার ফলে অভাব দেখা দিয়েছে খাবার এবং পানীয় জলের। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে। গতকালই রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছিলেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে ৮০ শতাংশই যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। ফলে ওই দুই রুটে ‘কনজেশন’ হচ্ছে। আজ ফের রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, এই কনজেশনের কারণেই কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে ‘ডাইভার্ট’ করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গিয়ে ডি-বোর্ড করিয়ে সেইসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাতেও কিছুটা সময় বেশি লাগছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং জানিয়েছেন, যে স্টেশনে শ্রমিকদের রাতের খাবার দেওয়ার কথা, যদি কোনও কারণে ট্রেন লেট হয়, তাহলে ওই স্টেশনে আর সেই খাবার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্য কিছুর বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে খাবার এবং পানীয় জলের অভাবে না দুর্ভোগে পড়েন।