প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে গত শুক্রবার গোপনে লে পরিদর্শন করে ফেরার পরই ভারত আরও বেশি করে সেনা পাঠানো শুরু করেছে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, লে ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনকে ‘ফরওয়ার্ড অপারেশনাল অ্যালার্ট’ দেওয়া হয়েছে। চীনের পক্ষ থেকে প্যাঙ্গং সো হ্রদে গত এক সপ্তাহে একঝাঁক অতিরিক্ত টহলদারি নৌকা পাঠানো হয়েছে। টহলদারি চলছে দিবারাত্র। গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি করছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান ফেরার পর অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লাদাখের পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল অবহিত করেছেন।
আর এই প্রেক্ষিতেই নানারকম খবরও আসতে শুরু করেছে ভারত-চীন উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে। গতকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, ভারত ও চীনের মধ্যে তৈরি হওয়া টেনশন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, কয়েকদিন আগে, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের কয়েকজন জওয়ানকে চীনের লালফৌজ নাকি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অপহরণ করে আটকে রাখে। ভারতীয় জওয়ানদের আগ্নেয়াস্ত্রও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে রটে যায়। পরে প্রত্যেককে মুক্তি দিয়ে অস্ত্রও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আজ অবশ্য ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এরকম কোনও ঘটনাই হয়নি। ভারতীয় সেনার মুখপাত্র কর্নেল আমন আনন্দ বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে এমন কোনও অসত্য তথ্য প্রচার করা উচিত নয়, যা দেশের স্বার্থের পক্ষে ক্ষতিকর। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী সদা তৎপর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ভারতীয় সেনা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর কাউকেই চীনাফৌজ অপহরণ করেনি। এই মিথ্যা খবর জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক।
চীনের পক্ষ থেকে লাদাখের যে অংশগুলিকে নিজেদের এলাকা হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক সেই ‘পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪’ এবং গোর্গা পোস্টের অদূরেই চীন বাঙ্কার আর তাঁবু নির্মাণ করেছে। একদিকে চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে যখন এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে,ঠিক তখন নেপালও ১২ বছর পর চীনের সীমান্তে পৌঁছে যাওয়ার জন্য একটি সড়ক নির্মাণ আবার শুরু করেছে। ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডারচুলা-তিনকর রোড প্রকল্প এতদিন নেপাল বন্ধ রেখেছিল। ফের শুরু হওয়া এই সড়ক উত্তরাখণ্ডের গা ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের যাবতীয় সহায়তা যে বেজিং দিচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই ভারতের। প্রশ্ন হল, চীনের উদ্দেশ্য কী?