কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
এদিন বৈঠক শেষে অজিত দোভালের বাসভবন থেকে বেরিয়ে বাবা রামদেব বলেন, ‘রায় নিয়ে যদি কোথাও কোনও প্রশ্ন থেকেও থাকে, তবুও দেশের ঐক্য বজায় রাখতে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমাদের সম্মান করতেই হবে। এদিনের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমি সমস্ত মুসলিমদের কাছে মন্দিরের জন্য অনুদান দেওয়ার জন্য এবং হিন্দুদের কাছে মসজিদের জন্য অনুদান দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ আমাদের নিয়ে যেতে হবে।’ অন্যদিকে, স্বামী পরমাত্মানন্দ বলেন, ‘কিছু মানুষ রয়েছে যারা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু, তারা যাতে কোনওভাবেই সফল না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।’ এই বৈঠকের আয়োজন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খোজা মৈনুদ্দিন চিস্তি দরগার প্রধান সৈয়দ জয়নাল আবেদিন আলি খান। তিনি বলেন, ‘এই বৈঠক ডাকার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের পদক্ষেপকে আমরা সমর্থন করি। হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ ভুলে এখন সকলকে একজোট হয়ে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ থেকে দারিদ্র এবং অশিক্ষাকে দূর করতে হবে।’ ঋষিকেশের পরমার্থ নিকেতনের প্রধান স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছিল। কিন্তু, এই ৯/১১ মানুষকে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আমার মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় সমস্ত বৈষম্যকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’ হিন্দু এবং মুসলিম সংগঠনের আর্জি এবং সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের জন্যই সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মারকাজি জামিয়ত আহলে হাদিস হিন্দের প্রেসিডেন্ট মৌলানা আসগর আলি সালাফি। একই কথা বলেন শিয়া ধর্মগুরু মৌলানা সৈয়দ কালবে জাওয়াদ। তাঁর মতে, রায় ঘোষণার পর যেভাবে দেশবাসী শান্তি বজায় রেখেছিলেন, তা সত্যি প্রশংসনীয়।
এর আগে গত শনিবারও নিজের বাসভবনে রামদেব, অবধেশানন্দ গিরি এবং স্বামী পরমাত্মানন্দের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন দোভাল। হিন্দু ধর্ম আচার্য সভার চেয়ারম্যান হলেন অবধেশানন্দ গিরি। অন্যদিকে স্বামী পরমাত্মানন্দ আবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।