পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
জোট সরকারকে চাপে ফেলতে বৃহস্পতিবার রাতে বিধানসভার অন্দরেই অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। রাত জেগে প্রতিবাদে শামিল হন দলের বিধায়করা। নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত কুমারস্বামীর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘এই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। দ্রুত আস্থাভোট করাতে আমরা সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েই যাব। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে জোট সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন দলের অন্য বিধায়করাও। আস্থাভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রাত জেগে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন তাঁরাও।
কিন্তু তা বলে খাওয়া-দাওয়া না করে রাতজাগা কি ভালো দেখায়? অন্তত দক্ষিণী সংস্কৃতিতে তা বড্ড বেমানানও। অতএব, চটজলদি বিজেপির প্রতিবাদী বিধায়কদের খাবারের আয়োজন করে ফেলল জোট সরকারের শরিক কংগ্রেস। হাসিমুখে সেই আতিথেয়তা গ্রহণও করলেন প্রতিবাদীরা। বিজেপির বিধায়কদের রাতের খাবার খাইয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের মন্তব্য, ‘এটা আমাদের কর্তব্য। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ যাই হোক না কেন, গণতন্ত্রের পীঠস্থানে আমরা সকলেই সহকর্মী। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় আমরা একে অপরের বন্ধু।’
বিজেপি বিধায়কদের স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হয়েছিল খাদ্য তালিকা। কে, কী ধরনের খাবার পছন্দ করেন, স্বাস্থ্যের কারণে কোন বিধায়ক রাতে কী খান, সে দিকেও নজর রেখে খাবারের বন্দোবস্ত করেছিল কংগ্রেস। পরেমেশ্বর জানিয়েছেন, প্রতিবাদী বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই ডায়াবেটিসের রোগী। কারও আবার উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে তাঁদের এইসব স্বাস্থ্য-সমস্যার কথা মাথায় রেখেই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজনৈতিকভাবে শত্রুতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই এমন উদ্যোগ কংগ্রেসের। পরমেশ্বরের কথায়, ‘এটাই তো বিউটি অব ডেমোক্রেসি’। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকবেই। তাঁরা প্রতিবাদও করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তা বলে সহকর্মী কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্ককে নষ্ট করা ঠিক নয়।’
কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক উদারতাকে বর্জনও করেনি বিজেপিও। অন্তত, বিধানসভায় দলের যে কয়েকজন বিধায়ক রাতের প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন, তাঁরা কংগ্রেসের আতিথেয়তা সাদরে গ্রহণ করেছেন বলে খবর। একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিধানসভার ভিতরে বিজেপির বিধায়করা যে যাঁর মতো পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। খাওয়া-দাওয়ার পর বিধানসভার ওয়েলে কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েছেন। কেউ ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন বিধায়ককে আবার ঘরোয়া পোশাক পরে গল্পগুজব করতে দেখা গিয়েছে। রাতভর এভাবে কাটিয়ে সাত সকালেই বিধানসভার চত্বরে চক্কর কাটলেন প্রতিবাদী বিধায়করা। আক্ষরিক অর্থে যা ‘প্রাতঃভ্রমণ’। কিছু পরেই যে বিধানসভায় শুরু হবে আস্থা-নাটকের দ্বিতীয় পর্ব!