পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
প্রিয়াঙ্কাকে ‘গ্রেপ্তার’-এর ঘটনার কড়া নিন্দা করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় পুলিস কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, সোনভদ্রের যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মির্জাপুর জেলার অন্তর্গত নারায়ণপুরে আটক করা হয়েছে। এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রথমে বারাণসীতে এসে সোজা চলে যান বিএইচইউ-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে। তারপর সেখান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের সোনভদ্রের পথে রওনা হন। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সচিব প্রিয়াঙ্কাকে আটকানো হয় বারাণসী-মির্জাপুর সীমান্তে। এর প্রতিবাদে তিনি ধর্নায় বসলে প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী চুনার গেস্ট হাউসে। প্রিয়াঙ্কা যাতে সোনভদ্রে না যান, জেলাশাসক এবং এসপি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। ডিআইজি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই সোনভদ্র জেলার ঘোরাওয়ালে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে যাওয়া প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেখানে মানুষের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সদলবলে গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসন তাঁকে সেখানে যেতে দিতে নারাজ। যদিও উত্তেজিত প্রিয়াঙ্কার দাবি, তাঁকে গুলিতে নিহত আদিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। আর কোনও আইনে তাঁকে আটকানো হল, তাও দেখানোর দাবি জানান তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমার ছেলের বয়সি একজনকে গুলি করা হয়েছে। সে হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমাকে জানান, কোন আইনের অধীনে আমাকে আটকানো হল?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাত্র চারজনকে নিয়ে সোনভদ্রে যেতে চাই। আমি আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। যে আদিবাসীরা গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন, সেই সব পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তবু প্রিয়াঙ্কাকে সোনভদ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট এলাকার কংগ্রেস নেতা অজয় রাই জানান, অন্যান্য কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এরপরই দিল্লি থেকে রাহুল গান্ধী এই গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ বলে আখ্যা দেন। এই পদক্ষেপকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের সাধারণ সচিব জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেপ্তারের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেছেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার ভোগার জন্যই বিজেপি সরকার এমন দমনমূলক আচরণ করছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে।’ জ্যোতিরাদিত্য ট্যুইট করেছেন, ‘মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানো জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশ সরকার তাতে বাধা দিয়ে ঘোরতর অন্যায় করেছে। এই কাজ গণতন্ত্রের পরিপন্থী।’ অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করে চুনারে রেখে রাজ্য সরকার কি সোনভদ্রে ১০ জন আদিবাসীকে খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারবে?’