কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
রবিবার ফেসবুক পোস্টে রবার্ট বলেছেন, ‘এতগুলো বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে গিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি, মানুষের জন্য আরও কিছু করতে হবে। এতগুলো বছরের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা বিফলে যেতে না দিয়ে বৃহত্তর কাজে লাগাতে হবে। আমার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পর মানুষের সেবায় বৃহত্তর ভূমিকা নিতে চাইব আমি।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, আমার যোগদান যদি বড় পার্থক্য গড়ে দেয়, তাহলে কেন নয়? তবে, মানুষই সেটা বিচার করবেন।’
আগেও একাধিকবার রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন রবার্ট ওয়াধেরা। কিন্তু, কংগ্রেস নেতৃত্ব বা স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার তরফে এই বিষয়ে কখনওই কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রিয়াঙ্কা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এদিনও কংগ্রেসের তরফে বিষয়টিকে নিচু তারে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা জানান, একাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকার সুবাদে মানুষের জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবার্টের। মানুষের সেবায় নিজের গুণগুলিকে ব্যবহার করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন পবন। এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নাম করে পবন বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে গেলেও কি মোদিজির অনুমতি নিতে হবে ওঁকে (ওয়াধেরা)?’
একাধিক জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর এই ভগ্নিপতির। আপাতত একটি বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরা সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, লন্ডনে কমপক্ষে ন’টি সম্পত্তি রয়েছে ওয়াধেরার। এর মধ্যে তিনটি ভিলা এবং বাকিগুলি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। বর্তমানে যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ড। এই সম্পত্তিগুলি ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কেনা হয়েছিল, যখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।
এদিকে, রবার্টের ফেসবুক পোস্টের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ব্যঙ্গের সুরে করা ট্যুইটে বিজেপি লিখেছে, ‘আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে আপনাদের সামনে পেশ করলাম।’