পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দেশজুড়ে কৃষক অসন্তোষ, দলিত বিক্ষোভ নিয়ে জেরবার বিজেপি। সেইসঙ্গে নোট বাতিল, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করে ব্যবসায়ীদের একাংশের কুনজরে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সবমিলিয়ে যার প্রভাব পড়েছে সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে। বিজেপিকে খোয়াতে হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের তখত। আর তাই লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারের নজরে মধ্যবিত্তদের ভোটব্যাঙ্ক। দেশের এই বিপুল সংখ্যক জনগণকে তুষ্ট করতে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে।
বর্তমানে বছরে কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, এক অর্থবর্ষে (এপ্রিল থেকে মার্চ) ওই পরিমাণ আয়ে কোনও ব্যক্তিকে আয়কর দিতে হয় না। সেই হার বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করতে পারে মোদি সরকার। এখানেই শেষ নয়, মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে চিকিৎসা ও পরিবহণের জন্য খরচের উপর ছাড়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু রদবদল করা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। বলা বাহুল্য, আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে বণিকসভা কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। পাশাপাশি, ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করার পক্ষেও সওয়াল করছে তারা। যাতে আম আদমির সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ে এবং হাতে আরও বেশি টাকা থাকে। এছাড়া বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রককে পাঠানো সুপারিশে আয়করের সর্বোচ্চ হার ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করারও প্রস্তাবও দিয়েছে সিআইআই। যদিও সরকারি সূত্রের খবর, ভোটের আগে কর ছাড় দিলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। ফলে ভেবে পা ফেলতে চায় মোদি সরকার।
কারণ, ১৯৬১ সালের আরকর আইনকে বাতিল করে তার জায়গায় ডিরেক্ট ট্যাক্স কোড আনছে কেন্দ্র। শীঘ্রই পেশ হতে পারে সেই রিপোর্ট। তাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে করের আওতায় আনার পাশাপাশি ব্যবসা ক্ষেত্রে সুস্থ প্রতিযোগিতা আনতে চায় সরকার। বর্তমানে আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা রোজগেরেদের বছরে কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। পাঁচ থেকে ১০ লক্ষ আয়কারীদের ২০ শতাংশ। এবং তার উপরের রোজগেরেদের করের হার ৩০ শতাংশ। সেই করকাঠামোয় কোনও পরিবর্তন হয় কি না, নজর এখন সেই দিকেই।