পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
গত ৩ জানুয়ারি পুলিস প্রহরায় সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন ৪৪ বছরের কনকদুর্গা ও ৪২ বছরের বিন্দু। তাঁদের আয়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশের খবরে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন ভক্তরা। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে গত দু’সপ্তাহ ধরে লুকিয়ে ছিলেন দু’জনেই। মঙ্গলবার সকালে মালাপ্পুরম জেলার পেরিন্থালমান্নায় নিজের বাড়িতে ফেরেন কনকদুর্গা। শাশুড়ি আগাগোড়াই পুত্রবধূর সবরীমালায় প্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন। বাড়ি ফেরা মাত্রই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তখনই একটি কাঠের তক্তা দিয়ে শাশুড়ি কনকদুর্গাকে মারেন বলে অভিযোগ। মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কনকদুর্গা তাঁকে মেরেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শাশুড়িও।
শুধু শ্বশুরবাড়িই নয়, কনকদুর্গার নিজের বাড়িও তাঁর সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের ঘোর বিরোধী ছিল বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই কেরল জুড়ে মহিলারা দীর্ঘ মানবপ্রাচীর গড়ে সবরীমালা হিংসার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দাবি জানিয়েছিলেন সমান অধিকারের। কিন্তু সেসবই যে আনুষ্ঠানিকতা, কনকের উপর শাশুড়ির হামলায় তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।
গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক রায়ে সবরীমালা মন্দিরের দরজা সমস্ত মহিলাদের জন্য খুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শতাব্দীপ্রাচীন প্রথা ভেঙে ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ঋতুসক্ষম মহিলারা মন্দিরে প্রবেশাধিকার পান। এই রায় মন থেকে মেনে নিতে পারেনি আয়াপ্পা ভক্ত, বিজেপি ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। তাদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে হিংসা ছড়ায় গোটা কেরলেই। তারপর থেকে দফায় দফায় বহু মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভক্তদের বাধায় মাঝপথেই ফিরে আসতে হয় তাঁদের। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অনেকগুলি রিভিউ পিটিশনও জমা পড়ে।
অন্যদিকে, আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টে সবরীমালা নিয়ে রিভিউ পিটিশনগুলির শুনানির কথা ছিল। কিন্তু পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি ছুটিতে থাকায় তা হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। স্বাস্থ্য সম্পর্তি কারণেই বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা ছুটিতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।