সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
কারণ ইতিমধ্যেই আমরা তাঁদের দলীয় কর্মী হিসেবে স্বাগত জানিয়েছি।’ একইসঙ্গে দিলীপবাবু এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেছেন, ‘ভিন দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মানুষ গ্রহণ করেছেন, নাকি করেননি, তাও বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। যাবতীয় হারের কারণ নিয়েই বিশ্লেষণ করা হবে। সবক’টি কেন্দ্রের উপরই বিশেষভাবে নজর দেবে বিজেপি।’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বিজেপিতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা একেবারে প্রাথমিকস্তরে ছিল, সেইসময় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ‘সব দলবদলুকে মোটেও টিকিট দেবে না বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে লড়ানোর শর্তে কাউকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়নি।’ কিন্তু পরে দেখা যায়, রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে যোগ্য প্রার্থীর অভাবে সেই দলবদলুদের একটি বড় অংশের উপরই ভরসা করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
দলের অন্দরের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে, দীর্ঘদিনের পার্টিকর্মীদের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে যেভাবে দলে যোগদান করানোর পরেই বহু দলবদলুকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়েছে, তা কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের জন্য। নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে না পারার জন্য এইসব দলবদলুর উপর বেজায় চটেছেন বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা। একইসঙ্গে তাঁরা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, কেন্দ্রীয় পার্টির সামগ্রিক পরিকল্পনাতেও কোনও গলদ ছিল কি না। হারের কারণ খুঁজতে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা ধরে ফলাফল বিশ্লেষণের পর সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠাবেন বিজেপির বাংলার নেতারা।