সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক আইএলও’র এই সমীক্ষা সম্পর্কে অবহিত। শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার এব্যাপারে বৈঠকও করেছেন। কেবল সরকার নয়, আইএলও’র সমীক্ষকরা এনিয়ে বিস্তারিত কথা চালাচ্ছেন নিয়োগকারী তথা মালিকপক্ষের সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে। কোভিড পরিস্থিতি বলে তাঁরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিরাট সংখ্যক প্রশ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বীকৃত কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের কাছেও। ৩০ জুনের মধ্যে সমীক্ষার কাজ তাঁদের গুটিয়ে ফেলার কথা। তারপর চূড়ান্ত রিপোর্ট সুপারিশ সহকারে আইএলও’র তরফে শ্রমমন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া হবে। বিভিন্ন সংগঠনের কাছেও পাঠানো হবে রিপোর্ট। আইএলও’র বাৎসরিক সম্মেলনেও তা পেশ করার কথা।
কী কী বিষয়কে সামনে রেখে আইএলও এই সমীক্ষা চালাচ্ছে? সূত্রের খবর, বর্তমানে মাসিক ২১ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনভোগী কর্মীরাই ইএসআই-এর অধীনে আসতে পারেন। সংগঠিত ক্ষেত্রে ১০ জন বা তার বেশি কর্মী থাকা কোনও বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প চালু রাখা একপ্রকার বাধ্যতামূলক। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং নজরদারির অভাবে এখনও বহু সংস্থা ও কর্মী এই প্রকল্পের আওতার বাইরে। সেই বাইরে থাকা সংস্থা ও কর্মীদের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক আন্দাজ পেতেই এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি যে কর্মচারীরা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন, তারাও ঠিকভাবে কেন এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন না, ইএসআই-এর স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোয় খামতিগুলি কোথায়, স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়াও কর্মচারীরা কীভাবে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন এই প্রকল্প থেকে ইত্যাদি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞ সমীক্ষকরা। তবে পাশাপাশি সমীক্ষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অসংগঠিত ক্ষেত্রের কোটি কোটি শ্রমিক-কর্মচারীকে কীভাবে এই প্রকল্পের সুবিধার আওতায় আনা যায়, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। মোদি সরকারের চালু করা নয়া শ্রমকোডের কথা মাথায় রেখেই তা করতে হবে বলে সমীক্ষকদের বলা হয়েছে।
আইএলও’র এই সমীক্ষা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ইএসআই নিগমের বোর্ড সদস্য তথা সিটুর কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত নন্দী মজুমদার। সম্প্রতি মাঠে নেমে কাজ করা সমীক্ষকদের দেওয়া প্রাথমিক কিছু তথ্যের ভিত্তিতে একজন বিশেষজ্ঞের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন এব্যাপারে। আওতার বাইরে থাকা সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কোটি কোটি শ্রমিক-কর্মচারীর এই সুবিধা না পাওয়ার বিষয়টির উপর প্রশান্তবাবুও ওই আলোচনায় বিশেষভাবে জোর দেন। তিনি বলেন, আইএলও’র এই সমীক্ষা সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠন— সকলকেই দিশা দেবে বলে আশা করি। সেই সঙ্গে সরকার সমীক্ষার সুপারিশগুলি যাতে কার্যকর করে, সেজন্য বোর্ডেও চেষ্টা চালানো হবে।