সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
নরেন্দ্র মোদি বাংলায় প্রচারপর্বে রীতিমতো ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। দফায় দফায় গিয়েছেন কেরলে। তামিলনাড়ুতে বিপুল শক্তি বাড়ানোর আশা দিয়েছেন দলকে। তিন রাজ্যে তিনিই ছিলেন দলের চালিকাশক্তি। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, তিন রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কেরলে বিজেপি শূন্য, তামিলনাড়ুতে ৩। আর বাংলায় ২০০ দূর অস্ত, ১০০ আসনের ধারেকাছেই যেতে ব্যর্থ। কেরলে বামফ্রন্ট, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কংগ্রেসের জোট এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিপুল জয় হয়েছে। পুদুচেরিতে এনআরসি জোট জয়ী হয়েছে, যেখানে বিজেপি অন্যতম শরিক। কিন্তু মোদির ভূমিকা সেখানে নগণ্য। অসমে বিজেপির জয়ের কারিগর দলের নেতা ও মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক ক্ষমতা ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের জনপ্রিয়তা। ফলে এই কারণেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে, মোদির সেই জনমোহিনী শক্তি আর অবশিষ্ট নেই।
আগামী বছর গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট। এমতাবস্থায় ২০২১ সালে করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় রীতিমতো লেজেগোবরে মোদি সরকার। আর তার সঙ্গে এভাবে বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ুতে চরম পরাজয়। এখন কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণ ভারতে আর একটি রাজ্যেও বিজেপির শক্তি নেই। মধ্যভারতে শুধুই মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিম ভারতে গুজরাত ও গোয়া। উত্তর ভারতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ। পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতে বিহার, অসম, ত্রিপুরা। সুতরাং বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ুর পর আগামী বছর ছয় রাজ্যে কী হতে চলেছে, তা ভেবে আতঙ্কিত দল। উত্তর ভারতে বড়সড় ধাক্কা এলে ভারতের মানচিত্র থেকে ক্রমেই গেরুয়া ফিকে হয়ে যাবে। একমাত্র যাঁর ম্যাজিকে এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা ছিল, এবারের বিপর্যয় দেখাল সেই মোদির একক ক্ষমতা আর নেই। পশ্চিমবঙ্গ তার প্রমাণ। এই রাজ্যের ভোট প্রথম থেকেই হয়েছে মোদি বনাম মমতা। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছেন মমতাই। তাঁদের আবার দেখা হবে মুখোমুখি ভোটের ময়দানে... ২০২৪ সালে।