বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
চকবাজারের সভার আগে ম্যালের কাছে ভানুভক্ত ভবন থেকে বেলা সওয়া একটা নাগাদ শুরু হয় সিএএ, এনআরপি এবং এনআরসি বিরোধিতায় তৃণমূল সুপ্রিমোর মহামিছিল। সূচনাপর্বে এর বিরোধিতায় নেপালি ভাষায় লেখা শপথবাক্য পাঠ করান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিনয় তামাং। মমতার সঙ্গেই তা পাঠ করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, সাংসদ শান্তা ছেত্রী, বিধায়ক অমর সিং রাই, মোর্চা নেতা অনীত থাপা সহ কয়েক হাজার মানুষ। আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভেসে মানুষের সেই প্রতিবাদী স্রোত পাহাড়ের নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলে। এক ঘণ্টা পরে তা পৌঁছয় চকবাজার মোটরস্ট্যান্ডে। গোটা এলাকায় তখন শুধু কালো মাথার ভিড়। চিরাচরিত পোশাকে সজ্জিত মানুষ বাজিয়ে চলেছে নানা বাদ্যযন্ত্র। সেই সঙ্গে পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ছে সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি বিরোধী স্লোগানের প্রতিবাদী সুর। উপচে পড়া ভিড়কে নেপালিতে সম্বোধন করেন মমতা। ফের করতালিতে স্বাগত জানায় জনতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোর্খারা দেশের সম্পদ। ভারতমাতার বীর সন্তান। এবার ভোটে জিততে বা ভোট চাইতে আসিনি। গোর্খাল্যান্ডের জিগির তুলে কেউ কেউ ভোটে জিতে পালিয়ে যায়। বিপদের সময় তাদের আর দেখা মেলে না। নাগরিকত্ব ইস্যুতে আপনাদের আজ খুব বিপদ। তাই পাশে দাঁড়াতে ছুটে এসেছি। কেউ তথ্য চাইতে এলে দেবেন না। জানবেন, আমি যতদিন আছি, এখান থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে হবে না। উচ্ছ্বসিত জনতা করতালিতে সায় জানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে পাহাড়ে বেশ অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে বিজেপি। ক্রমেই গেরুয়া শিবির বিরোধী ঝাঁঝ বাড়ছে পাইন, অর্কিড আর রডোডেনড্রনের আবাসস্থলে। মিছিলের পায়ে পায়ে হেঁটে সেই ঝাঁঝ উপলব্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। তাই সভায় একের পর এক শব্দবাণে বিদ্ধ করেছেন কেন্দ্রের শাসকদলকে। বলেছেন, ক্ষমতায় ফিরেছো, ভালো করে দেশ চালাও। কিন্তু কী অবস্থা দেশের! আর্থিক অবস্থা সঙ্কটে, কর্মসংস্থান নেই, কাজ হারাচ্ছে মানুষ, সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, কৃষক আত্মঘাতী হচ্ছেন, তাঁদের সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ নেই। মানুষ চরম দুর্ভোগে। তাঁর কটাক্ষ, এসব পরিস্থিতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি। এতই যদি ভালো, তাহলে নিজেদের শাসিত অসম, ত্রিপুরাতে করা হচ্ছে না কেন? কেনই বা উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাদ রাখার চেষ্টা চলছে। মমতার প্রশ্ন, এখানে অবিজেপি সরকার। তাই কি এত চাপ? জনতার স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, সাহি হ্যায় দিদি, ইয়ে সাহি হ্যায়।