বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায় সবচেয়ে বড় জলপ্রকল্প তৈরি হচ্ছে। পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্পের জন্য গঙ্গার ওপারের সাতটি পুরসভার মানুষ উপকৃত হবে। ওই প্রকল্প ছাড়াও আরও কিছু জলপ্রকল্প চলছে রাজ্য জুড়ে। সেই সব প্রকল্পের কাজ মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করতে চায় পুর দপ্তর। কিছু প্রকল্পের কাজ একেবাবে শেষ পর্যায়ে চলছে। যেগুলি তৈরি করছে কেএমডিএ। সেগুলির উদ্বোধন হবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে।
পুরভোটের আগে পুরবাসীকে পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তাই রাজ্যে অধিকাংশ পুরসভাতেই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে কাউকে ভূগর্ভস্থ জল তুলে না খেতে হয়। ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করার জন্য জলস্তর নেমে যাচ্ছে। যা খুবই উদ্বেগের। তাই কোথাও গঙ্গার জল পরিশোধন করে তা পানীয় জল হিসেবে সরবরাহ করা হচ্ছে, কোথাও আবার অন্য কোনও নদীর জল পরিশোধন করে মানুষের পানযোগ্য করা হচ্ছে। কেএমডিএ এ ধরনের বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জল প্রকল্প ছাড়াও পুর দপ্তরের সবচেয়ে মাথাব্যথা হল জঞ্জাল অপসারণ। জঞ্জাল ফেলার জায়গা পাওয়া খুব মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া কোনও নালার নিকাশি জল সরাসরি গঙ্গায় ফেলা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের নমামি গঙ্গে প্রকল্পে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পুরসভায় ইতিমধ্যে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) তৈরির কাজ চলছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবেও নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে পুর দপ্তর। কয়েকটি জায়গায় জঞ্জাল থেকে সার তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে খোলা জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ করা বন্ধ করতে শৌচালয় তৈরির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩৬টি পুরসভা এখনও এই কাজে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। সেই ৩৬টি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্য সরকার চায়, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে খুব দ্রুত কাজ করা হোক। যেসব জায়গায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছে, তা মাস দুয়েকের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যেসব পুরসভা এখনও বরাদ্দ অনুযায়ী পুরো টাকা পায়নি, তাদের টাকা ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভাগুলি প্রকল্প অনুযায়ী টাকা পাবে বলে পুর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।