বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বেশ কয়েক বছর ধরে আইনি লড়াই চলার পর ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়ে দেয়, এই রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই করা যাবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্যের কয়েকটি জেলার বেশ কিছু সরকারি আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সক্রিয় হয়ে উঠে নিজেরাই দ্রুত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়।
এই নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে হইচই শুরু হওয়ার পর মাদ্রাসা ডাইরেক্টরেট বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে, এমন কয়েকটি মাদ্রাসার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই মাদ্রাসাগুলি সহ আরও কিছু মাদ্রাসা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নিজেদের স্বার্থে নিয়োগ করছে। আত্মীয়স্বজনদেরও নিয়োগ করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা দপ্তরের নজরে এসেছে যে, নিয়োগ করার দুই-তিন বছর পর ডিআই-এডিআই অফিসে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পাঠানো হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, পিছনের তারিখ দিয়ে নথি তৈরি করে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে।
এদিকে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় বেআইনি নিয়োগের পিছনে মোটা টাকার খেলা হয়েছে। শাসকদলের মদতপুষ্টরা এতে জড়িত বলে তাঁর অভিযোগ।