বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রথম দিনের শুনানি পর্বের পর সর্বোচ্চ আদালতে সিএএ মামলার ফয়সালা হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের কথায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি নয়া নাগরিকত্ব আইন দেশের সংবিধান বিরোধী এবং সেই কারণে তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হোক—মূলত এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই প্রায় শ’দুয়েক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তির পাশাপাশি কেরল সরকারও মামলা করেছে। মামলাকারীরা সকলেই চেয়েছিল, চূড়ান্ত রায়ের আগে এই আইন বলবৎ করা নিয়ে স্থগিতাদেশ দিক শীর্ষ আদালত। সকলেই তাই এদিন প্রথম শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ এদিন পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে আরও চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারপর এই মামলা আদৌ সাংবিধানিক বেঞ্চে যাবে কি না, তা ফয়সালা হবে। সাধারণ মানুষও মনে করছে, রামমন্দির মামলার মতো এটিও দীর্ঘসূত্রিতার জালে জড়িয়ে যাবে। মানুষের এমন আশঙ্কা অমূলক নয় বলেই মনে করেন সিপিএমের নেতারা।
বিজেপি এই মামলার দীর্ঘসূত্রিতার সুযোগ নিতে তৎপর হবে বলে মনে করছেন সেলিম। তিনি বলেন, বিজেপি সংসদের উভয়কক্ষে ওই বিল পাশ করানোর পর যতটা সহজে এই আইন লাগু করবে ভেবেছিল, বাস্তবে তা হচ্ছে না, সেটা বুঝেছে। দেশের সব অংশের মানুষ যেভাবে প্রতিদিন এর প্রতিবাদে পথে নামছে, তা তাদের কাছে অকল্পনীয়। বিশেষ করে ছাত্রসমাজ এমন সক্রিয় হয়ে ঐক্য-সংহতির স্বার্থে সংবিধান রক্ষার আন্দোলনে শামিল হবে, তা আমরাও বুঝিনি। তাই আমরাও ঠিক করেছি, আগামীদিনে এই কর্মসূচিকে আরও তীব্র করব। গোটা দেশের সঙ্গে বাংলায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আসরে নামা হবে। দল ও বামপন্থীরা তো বটেই, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক যাবতীয় শক্তি ও ব্যক্তির সঙ্গে যৌথভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। অমিত শাহরা যতই চ্যালেঞ্জ দিন না কেন, বাংলায় অন্তত বামপন্থীরা এই ধরনের কালা কানুন চালু করতে দেবে না।
সিএএ-এনআরসি ইস্যুকে সামনে রেখে তারা রাজনৈতিক প্রচারের কাজে এবার তাই আগামী সাতদিন তিনটি বড় অনুষ্ঠান করবে। আজ বৃহস্পতিবার নেতাজির জন্মদিন, আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস এবং ৩০ জানুয়ারি গান্ধী নিধন দিবসে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা।