বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরোধীদের কাছে এই প্রস্তাব সমর্থনের আবেদন করেও তিনি বাম ও কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন। সিএএ নিয়ে সবার আগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শাসক দল ও তার শাখা সংগঠনকেও তাতে শামিল করেছেন। তা সত্ত্বেও তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছে বিরোধীরা। এমনই দাবি পার্থবাবুর। তিনি বলেন, যে মমতা গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর লাগাতার আন্দোলনে জেরবার হয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের নেতারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে যখন নিশানা করেছেন, তখন রাজ্যে বিরোধী কংগ্রেস ও বাম নেতাদের আচরণ সন্দেহজনক। বাংলায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করা বস্তুত বিজেপির হাতকেই শক্ত করা বলে মনে করেন পার্থবাবু।
আব্দুল মান্নান অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীসহ তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, গত মাসে বামফ্রন্টের সঙ্গে যৌথভাবে তাঁরা সিএএ তুলে নেওয়ার আর্জি নিয়ে প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। তা অনুমোদন কেন পায়নি, সেই প্রশ্ন বিধানসভা অধিবেশন কক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেছিলেন সুজনবাবু। প্রশ্ন শুনে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের ধমক দিয়েছিলেন। ওই ধরনের প্রস্তাবের কোনও প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সেই একই প্রস্তাব আনছেন। সুজনবাবু বলেন, নরেন্দ্র মোদির রাজ্য সফরের দুই দিন আগে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ না করিয়ে কি তাঁকে কোনও বার্তা দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? সেই অনুসারেই কি রাজভবনে একান্তে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? সুজনবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারপক্ষ যে প্রস্তাব আনতে চলেছে তাতে প্রয়োজন মনে করলে তাঁরা সংশোধনী আনতে পারেন। ফলে, সর্বদলীয় প্রস্তাব নিয়ে বিরোধীরা কোনও মতেই নিঃশর্ত সমর্থনের পথে যাচ্ছেন না। দুই তরফের এই আকচা-আকচি ও অবিশ্বাসের বাতাবরণেই বিশেষ অধিবেশনে শাসক ও অবিজেপি বিরোধীরা একযোগে সিএএ নিয়ে প্রতিবাদী প্রস্তাব পাশ করতে পারে কি না এখন সেটাই দেখার।