পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
সম্প্রতি নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাঁকুড়াতে পাইপ কিনে ফেলে রাখা হয়েছে। পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। এভাবে পাইপ ফেলে রেখে নষ্ট করার মানে কী? এরপর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোনও প্রকল্পের কাজ শুরু না হলে পাইপ কেনা যাবে না। টেন্ডার হওয়ার পর ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু হলে কাজ শুরু করার সময় পাইপ কিনতে হবে। তার আগে থেকে পাইপ কিনে ফেলে রাখা যাবে না। প্রয়োজন অনুসারে পাইপ কিনে প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনও ভাবে যেন টাকার অপব্যবহার না হয়। তাহলে সেই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে কৈফিয়ত দিতে হবে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নিউটাউন, হাড়োয়া, নন্দীগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জলপ্রকল্প হাতে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটি হওয়ার পথে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দু’-তিনটি প্রকল্পের জন্য সহজ শর্তে ভালো অঙ্কের টাকা ঋণ দিয়েছে। বাকি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারই আর্থিক খরচ করে ওই জলপ্রকল্পগুলি তৈরি করছে। এছাড়াও আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ করার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।
প্রতিটি কাজের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করতে ‘ফিল্ড ভিজিটের’ উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিপিআর তৈরির পর ই-টেন্ডার করতে বলা হয়েছে। টেন্ডারে স্বচ্ছতা আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবুও টেন্ডার নিয়ে অভিযোগ ওঠায় মুর্শিদাবাদের একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ। ওই দপ্তরের ঠিকাদাররাজ নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আসে নবান্নে। সে ব্যাপারে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রতি মাসে রাজ্যের সব এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রধান সচিব। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। কাজের ক্ষেত্রে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। অনেক প্রকল্পের ক্ষেত্রেই জমির প্রবল সমস্যা দেখা দেয়। যেমন নন্দীগ্রাম প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা ছিল জমি। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে ওই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বাকি ক্ষেত্রেও জটিলতা কাটিয়ে পরিস্রুত জল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করার চেয়েও বিভিন্ন নদী থেকে ভূপৃষ্ঠের জল তুলে পরিশোধনের পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।