সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণী-বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সমৃদ্ধি আবাসনের জমিতে অস্থায়ী ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। বর্তমানে সেখানে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সেই আবর্জনার স্তূপে আবার কে বা কারা, বিশেষ করে রাতের দিকে মাঝেমধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন ছড়িয়েও পড়ে অনেকটা এলাকায়। সেখানকার ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে শহরে। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পিছনে একদিকে রয়েছে হরিজনপল্লি, অন্যদিকে আদিবাসীপল্লি। পাশেই রয়েছে কলেজ ও আবাসিক স্কুল। এইসব এলাকাতেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ধোঁয়া ঢুকছে।
ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘিরে ফেলা হলে সেখানে পাহারায় থাকবেন পুরকর্মীরা। এছাড়া সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলবে। ফলে বাইরে থেকে কেউ সেখানে আগুন ধরানো বা আবর্জনা ফেলার কাজ করতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ের দিকে ১৬ ফুট উচু এবং কলেজের দিকের রাস্তায় ১২ ফুট উচু বেড়া দেওয়া হবে। থাকবে দু’টি গেট। মোট ৯৬০ মিটার এলাকায় তৈরি হবে এই বেড়া। প্রথম দফায় ওই বেড়া তৈরির জন্য পিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই সীমানার বেশিরভাগ অংশে নীল রঙের টিন বসানো থাকবে। আপাতত তিন বছরের জন্য সেখানে এই প্রকল্প চালানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে। শহরের কাছারিপাড়া এলাকায় কঠিন বজ্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে। সেটা তৈরি হয়ে গেলে এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে এই প্রকল্প সরিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই বিষয়ে কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী বলেন, এই সীমানা-প্রাচীর বা ‘ভিউ কাটার’ তৈরি হয়ে গেলে দৃশ্যদূষণ যেমন হবে না, তেমনই বাইরের কেউ আর অপরিকল্পিতভাবে সেখানে আবর্জনা ফেলে চলে যেতেও পারবেন না। এলাকা পুরসভার নজরদারির মধ্যে থাকবে। - নিজস্ব চিত্র