সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
সোমবার স্কুলে প্রেয়ার শুরুর আগে পাঁচতলার একটি ঘরের জানলার কাচ ভেঙে নীচে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ছাত্র মারাত্মক আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উত্তেজনা। স্কুল বাড়ি মেরামত নিয়ে প্রশ্ন তোলে অভিভাবকদের সংগঠন ‘গার্জিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশন’। বিক্ষোভ চলাকালীন স্কুলের এক সদস্য অভিভাবকদের বলেন, ‘পাঁচতলার যে ক্লাসরুমের জানালার কাচ ভেঙে পড়েছে, সেখানে খেলাধুলো করছিল পড়ুয়ারাই। তাদের ধাক্কাতেই কাচ ভেঙেছে।’ এ কথা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানো নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। ওই সদস্যের দিকে তেড়েও যান। নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘বাচ্চাদের উপর দুর্ঘটনার দায় চাপাচ্ছেন? আপনারা মানুষ? আপনাদের বাড়িতেও তো শিশুরা হয়েছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য কীভাবে বাচ্চাদের উপর দায় ঠেলতে পারেন? জানলার রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকভাবে হয়নি কেন? বছরের শুরুতে মাইনে নেওয়ার সময় তো টাকা বুঝে নেন। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে এত উদাসীন কেন আপনারা?’ শ্রেষ্ঠা সেনগুপ্ত নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের মা বলেন, ‘এত বড় স্কুল কিন্তু পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নেই। স্কুলের সিঁড়িতে কোনও গার্ডরেল নেই। বাচ্চারা হুড়োহুড়ি করে। কখন সিঁড়ি দিয়ে পড়ে যাবে কেউ জানে না। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ সেদিকে কোনও নজরই দেয় না।’ তাঁর সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আর একজন পড়ুয়ার বাবার বক্তব্য, ‘শুরু করলে অভিযোগের লাইন পড়ে যাবে। লিখতে লিখতে খাতা ভরে যাবে। কিন্তু আমাদের কথা বলতে দিতে হবে তো। এতবড় ঘটনা ঘটার পর এখন টনক নড়েছে প্রিন্সিপালের। এখন তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে বলছেন, অভিভাবকরা কোনও অভিযোগ দিতে চাইলে আমরা তা নেব। এতদিন কেন ভ্রুক্ষেপ ছিল না?’ প্রিন্সিপাল অরিজিৎ মিত্র অবশ্য বলেছেন, ‘স্কুলের পড়ুয়ারা আমাদেরও সন্তান। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রুখতে ‘সেফটি নেট’ বসানো হবে। অভিভাবকদের কোনও অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’