সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
আমি থাকি নাকতলায়। ছেলেকে সকালে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তখনই ফোন এল। আমি তখন আনোয়ার শাহ ক্রসিংয়ে। শুনেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমে স্কুলে ফিরি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি। আশ্চর্য হয়ে গেলাম, ওঁরা বললেন, আপনার ছেলে ঠিক আছে! অল্পবিস্তর চোট লেগেছে! আমি বিশ্বাস করিনি। ওঁদের বলি, ছেলেকে আমার কাছে নিয়ে আসুন না হলে টালিগঞ্জ থানায় যাব। থানার কথা শুনে তখন ছেলেকে আনে। ওকে দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। হাতে গভীর ক্ষত। ব্যান্ডেজ পর্যন্ত করে দেয়নি। একটু তুলো দিয়ে শুধু বেটাডিন লাগিয়ে ফেলে রেখে দিয়েছে। ছেলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। সেই অবস্থাতেই ওকে ক্লাস রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কাচ বা লোহায় কাটলে টিটেনাস নিতে হয়। ছেলে জানায়, টিটেনাস ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি স্কুল। আমি ওকে নিয়ে পাশের একটি নার্সিংহোমে যাই। হাতের কাটা অংশে কাচের টুকরো আছে কি না চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করাই। তারপর নিশ্চিন্ত হই। ডাক্তাররা বলেছেন, ছেলে মারাত্মকভাবে ট্রমায় রয়েছে। এবার আসি অ্যাম্বুলেন্সের প্রসঙ্গে। প্রতিবছর মোটা টাকা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই গুরুতর পরিস্থিতিতেও স্কুল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স আনেনি। সম্পূর্ণ দায় এড়িয়ে গিয়েছে। কোনও একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে আহত বাচ্চাগুলিকে হাসপাতালে পর্যন্ত পাঠায়নি। আজই আমি এ সব বিষয়গুলি নিয়ে অভিযোগ জানাব।