সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
খাস কলকাতার দুই পরিসংখ্যানের ‘ফাইনাল রেজাল্ট’ জানাল টমটম ট্রাফিক সূচক। আন্তর্জাতিক এই সমীক্ষা সংস্থার দাবি, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যানজটে নাকাল নগরীর নাম কলকাতা। শহরে প্রতি ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ‘সিটি অব জয়’ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে রয়েছে কলম্বিয়ার বারাঙ্কিলা শহর। এই রিপোর্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শহরের অফিস টাইমে নিত্যদিনে গলদঘর্ম শহরবাসী সেই রিপোর্ট দেখেই দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। তবে এই রিপোর্টের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত নয় লালবাজার।
টমটম ট্রাফিক সূচক প্রতিবছর বিশ্বের কোন শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেশি, তার হিসেব করে। মূলত এই সংস্থা রোড ম্যাপের উপর ভিত্তি করে রিয়েল টাইম ট্রাফিক মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করে। ২০২৪ সালে অফিস টাইমে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কতক্ষণ যানজটে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। রবিবার তাদের অফিসিয়াল সাইটে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম পাঁচে রয়েছে ভারতের তিন মেট্রোপলিটন সিটি। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা, তৃতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু ও চতুর্থ স্থানে পুনে। প্রতি ১০ কিমি রাস্তা যেতে বেঙ্গালুরুতে সময় লাগে ৩৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড ও পুনেতে ৩৩ মিনিট ২২ সেকেন্ড।
এপ্রসঙ্গে লালবাজার জানিয়েছে, খাস কলকাতার আয়তন প্রায় ৩১২ বর্গ কিলোমিটার। এই গোটা এলাকার মধ্যে মাত্র ২২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তা রয়েছে, যেখানে যানবাহন চলাচল করতে পারে। ২০১৫ সাল থেকে রাস্তা না বাড়লেও গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৪ লক্ষ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, বিশেষত ২০২২ সালের করোনা পর্বের পর শহরে যানবাহনের সংখ্যা হু-হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার জেরে রোড-স্পেস আরও কমে গিয়েছে, বেড়েছে যানজট ও স্টপেজ টাইম।