সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ
২৮ জানুয়ারি সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে শুরু হবে ‘৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’। ওইদিন বিকেল চারটের সময় উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথমবার কলকাতা বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি ‘জার্মানি’। ইতিমধ্যেই স্টল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময় জানা গিয়েছে, সিগনালিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজার জন্য আট ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ টানা দেড়মাস হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ রুটে মেট্রো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বইমেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৮ এবং ৯ তারিখ শনি ও রবি। ছুটির দিন এমনিতেই বেশি ভিড় হয়। তারপর শেষবেলায় বইমেলার ভিড় লক্ষাধিক ছাপিয়ে যায়। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার আগেই মেট্রো বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হবেন।
বইমেলার প্রস্তুতি এবং পরিকাঠামোগত দিক খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেলে মেলাপ্রাঙ্গণে যান বিধাননগরের পুলিস কমিশনার মুকেশ, যুগ্ম পুলিস কমিশনার বাদানা বরুণ চন্দ্রশেখর সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে, সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে গিল্ডের সভাপতি বলেন, ‘বইমেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। তাই মেলা শেষ হওয়ার আগে মেট্রো যাতে বন্ধ করা না হয়, সে জন্য আমি চিঠি দিচ্ছি। আমরা পুলিসকে চিঠি দেব। পুলিস সেই চিঠি পাঠাবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি, কর্তৃপক্ষ সেই দাবি রাখবেন।’
অন্যদিকে, এসবিআই অডিটোরিয়াম ছাড়া প্রতিবছর বইমেলায় দু’টি মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বছর কোনও মুক্ত মঞ্চ থাকছে না। তবে বিকল্প হিসেবে একটি হল তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন তৈরি হতো সেখানেই ওই হল হবে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এবছর মেলায় এসি প্যাভিলিয়ন থাকছে না। খোলা প্রাঙ্গণে থাকবে ইংরেজি প্রকাশনা সংস্থার স্টলগুলি।