নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে মন্দরমণির সমুদ্র তীরবর্তী হোটেল ও রিসর্ট ভাঙার নোটিসে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের ফলে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে হোটেল মালিকরা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। গত ১১ নভেম্বর মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভাঙার গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে আজ, শুক্রবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, কোন হোটেল বৈধ আর কোনটি অবৈধ আগে তার সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে এদিন হোটেল মালিকদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, মন্দারমণিতে তৈরি হওয়া কোনও হোটেলই নাকি বেআইনি নয়। সেগুলি পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদের থেকে অনুমতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল। ১৯৯৬-২০০৯ সালের মধ্যে ওই হোটেলগুলি তৈরি হয়, তখন এই আইন ছিলই না। তাহলে সেই আইন কী করে এখন এই হোটেলগুলির ওপর কার্যকর হতে পারে? এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ডিসেম্বর। তার আগে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার সব পক্ষকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এই বেআইনি হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। অভিযোগ, হোটেলগুলি উপকূল বিধি না মেনেই নাকি তৈরি উঠেছিল। জাতীয় পরিবেশ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই গত ১১ নভেম্বর অবৈধ ওই হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। ২০ নভেম্বর হোটেলগুলি ভাঙার শেষ দিন ছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জে জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মন্দারমণি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ শোনার পর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই জেলা প্রশাসন একতরফাভাবে কী ভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নিল সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।