কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বারাসত পুরসভায় সরকারিভাবে পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। সঠিকভাবে পানীয় জলের জোগান না থাকায় এখনও প্রায় ৫০ হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারেনি পুরসভা। এই গরমে জলের ব্যাপক চাহিদা। তারপরেও বারাসত শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, যথেচ্ছভাবে অপচয় হচ্ছে পানীয় জল। যে পাইপলাইন দিয়ে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, তা থেকেই দেদারে বেরিয়ে যাচ্ছে জল। এক বা দু’দিন নয়, মাসের পর মাস এই ঘটনার সাক্ষী এই শহরের মানুষ। ডাকবাংলো, কেএমসি রোড, হরিতলা বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা থেকে পরিস্রুত পানীয় জল পাইপলাইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যান্ত্রিক কারণে দু’টি বড় পাইপের সংযোগস্থলে বড় বক্স বসানো হয়েছে। আর সেই বক্স থেকেই জল বের হচ্ছে। যাতে ওই জলে পথচারীদের সমস্যা না হয়, তার জন্য বক্সের উপর ত্রিপল চাপা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যা থেকে আপাতত মুক্তির পথ নেই বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এমনিতেই পানীয় জলে আর্সেনিক রয়েছে। তার উপর সরকারিভাবে নলকূপ খনন বন্ধ। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। এ নিয়ে আমি দপ্তরে কথা বলেছি। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এদিকে, পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিদ্যাবতী চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকার বারে বারে বলছে জলের অপচয় বন্ধ করতে, কিন্তু সেই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটছে। এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক তরুণ পাল বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে পানীয় জলের কেমন সঙ্কট হতে পারে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বারাসত শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলের অপচয় হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুরসভার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।