কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
বারাকপুর শহরের কালিয়ানিবাস জে আর আর রোডের একটি বাড়িতে একতলায় দু’টি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ইশাইয়া গিডলা। তাঁর বাড়ি হায়দরাবাদে। বুধবার সকালে আচমকা তাঁর ঘরের ভিতর বিস্ফোরণ হয়। দু’টি ঘরেই আগুন লেগে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাশের বাড়ির দুই মহিলা পড়ে গিয়ে জখম হন। ওইদিনই পুলিস ইশাইয়াকে আটক করেছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার সময়ে তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে তিনি দাবি করেন, গ্যাসের পাইপ খুলে তিনি নিজেই আগুন লাগিয়েছেন। পরে জানিয়েছেন, কেরোসিন তেল ঢেলে জামা-কাপড় ও জিনিসপত্রে তিনি আগুন লাগান। কিন্তু, বিস্ফোরণ হল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর একটাই কথা— ‘জানি না’। এখানেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিস্ফোরণের আগে তিনি দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গিয়েছিলেন। তাহলে কি তিনি জানতেন খানিক বাদেই বিস্ফোরণ হবে? অর্থাৎ, তিনি বিস্ফোরক জাতীয় কিছু জিনিস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাঁর বয়ানে আরও অসঙ্গতি রয়েছে। প্রতিবেশীদের তিনি কখনও শিক্ষক, কখনও ক্লার্ক বলে পরিচয় দিতেন। ঘটনার দিন তিনি প্রতিবেশীদের জানিয়েছেন, চাকরির খোঁজে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। আবার পুলিসকে জানিয়েছেন, কারখানায় কাজ করতেন। আদতে তাঁর পেশা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। পুলিস ওই ভাড়াটিয়ার পরিচয় সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানতে বুধবার বারাকপুর কমিশনারেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) কর্তৃপক্ষকে খবর দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এসে ওই বাড়িতে যান। অগ্নিদগ্ধ দু’টি ঘর থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা। বারাকপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (সদর) আশিস মৌর্য বলেন, ভাড়াটিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা যে নমুনাগুলি সংগ্রহ করেছেন, সেগুলি পরীক্ষার পর বিস্ফোরণের কারণ এবং কী থেকে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তা জানা যাবে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।