কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে জোরকদমে চলছে প্রচার। বিভিন্ন দ্বীপে গিয়ে জনসভাও করছেন নেতা, বিধায়করা। কিন্তু কোনওরকম স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মঞ্চে জনপ্রতিনিধিরাও যেমন মাস্কহীন অবস্থায় বসে আছেন, তেমনই রয়েছেন কর্মী-সমর্থকরাও। বৃহস্পতিবার যেমন আমতলিতে তৃণমূলের সভা ছিল। নেতাদের বক্তব্য শুনতে সেখানে ভালোই ভিড় হয়। পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহিলাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো ছিল। কিন্তু সভায় উপস্থিত মানুষজনের অধিকাংশই বিনা মাস্কে এসেছিলেন। দূরত্ববিধি মানার কোনও চেষ্টাই করেননি কেউ। নেতারা যদি বিধি না মানেন, তাহলে কর্মী-সমর্থকরাও যে সেই পথেই হাঁটবেন, এটা বুঝতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। এই বিষয় কেন নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে এই ব্লকে প্রায় সবাই ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। তাই কি এতটা গা ছাড়া মনোভাব? আধিকারিকরা বলছেন, এখানে বাইরে থেকে সেরকম লোকজনের আনাগোনা নেই। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা কম। তাছাড়া গত পাঁচ দিনে কোনও আক্রান্তের খবর আসেনি। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পাঁচ। তাই হয়তো গ্রামবাসীদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা কমে গিয়েছে। এদিকে, চিকিৎসকরা বারে বারে ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করছেন। তাঁদের মত, টিকা পেলেও অসতর্ক হওয়ার সময় আসেনি। তারপরও উপনির্বাচনের প্রচারে গোসাবায় যে ছবি ধরা পড়ল, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন চিকিৎসকরা।