কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, তিনতলার ৩০৪ নম্বর ঘরে থাকতেন রাজীব। ওই গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার ফণীভূষণ মান্না চারবেলাই তাঁর ঘরে খাবার পৌঁছে দিতেন। এদিনও সকাল ন’টা নাগাদ তাঁর ঘরে খাবার দিতে যান ওই কেয়ারটেকার। তিনি পুলিসকে জানিয়েছেন, একাধিকবার দরজায় ধাক্কা দিলেও রাজীব খোলেননি। নাম ধরে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপরে কেয়ারটেকার বাইরে থেকে ৩০৪ নম্বর ঘরের পিছনের দিকের জানলা খোলেন। সেখান থেকে তিনি দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে রাজীবের দেহ। বিছানার চাদর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। তৎক্ষণাৎ তিনি বিধাননগর পূর্ব থানায় খবর দেন। পুলিস এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে। সেখান থেকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে দেহ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে মৃত্যু, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পুলিস সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তা স্পষ্ট হবে। আজ, শুক্রবার আর জি কর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্তের কথা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস।
এদিকে, ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতিতে কাজ করলেও বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রাজীব কলকাতায় থাকছিলেন কেন? তাঁর পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কোনও পারিবারিক অশান্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। গেস্ট হাউসের মালকিনের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিস। সমস্ত দিক খোলা রেখেই তদন্তে নেমেছে বিধাননগর পূর্ব থানা। এই গেস্ট হাউসেই উদ্ধার হয় দেহ। -নিজস্ব চিত্র