কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
মিঠুকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ভিকি অনেকদিন ধরেই বাড়ির খোঁজ করছিল। সে কসবায় চাকরি করে। তাই কর্মস্থলের কাছাকাছি সে বাড়ি কিনতে চেয়েছিল। সংবাদপত্রে জমি-বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখলেই চোখ বোলাত সে। আবার একইসঙ্গে জমি-বাড়ির দালালিও করত ভিকি। সুবীরবাবু বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর তা দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। কিন্তু ওই বাড়ির দাম সম্বন্ধে প্রথমে তার কোনও ধারণা ছিল না। কথা বলে জানতে পারে, মালিক দাম হেঁকেছেন ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। তা শুনেই ফিরে যায় ভিকি। এরপর মাকে বলে, ওই বাড়িটি সে কিনবে। বাবাকে বলে, সকলে মিলে টাকা জোগাড় করে কাঁকুলিয়া রোডে একটি বাড়ি কিনবে। ভিকির বাবা বলেন, তিনি বড়জোর ১২ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন। মিঠুর ছেলে জানায়, সে সাত-আট লক্ষ টাকা জোগাড় করবে। বাকিটা জোগাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় মা মিঠুকে। সব মিলিয়ে খুব বেশি হলে ২৫-৩০ লক্ষ টাকার সংস্থানের অঙ্ক কষে তারা। এরপর ফের নিজের পরিচয় গোপন রেখে ভিকি চোস্ত ইংরেজিতে ফোন করে সুবীরবাবুকে। সে নিজেকে একটি বড় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বলে, এই বাড়ি কিনতে চাই। টাকা রেডি আছে। প্রথমে তার কথায় আমল দেননি কর্পোরেট কর্তা। ফের ভিকি ফোন করে তাঁকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসতে বলে। সেই সময় সুবীরবাবু জানান, পুজোর পর দেখা করবেন। এর মধ্যেই সে এই কর্পোরেট কর্তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে। কত টাকার মালিক, তাও জেনে নেয়। ঠিক করে, যদি দরদামে না পোষায় তাহলে তাঁকে খুন করেই তাঁর টাকা লুট করবে। এই ছককে কার্যকর করতে পুজোর মধ্যেই ওই এলাকায় গিয়ে রেইকি করে ভিকি। এরপর ফোন করলে সুবীরবাবু দ্বাদশীর দিন তাকে আসতে বলেন। সেইমতো ভিকি, তার মা সহ মোট পাঁচজন সেখানে পৌঁছে পরিকল্পনা মতো খুন করে সুবীরবাবুকে।