কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবারে দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকত মিঠু। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনবার বাড়ি বদলায় তারা। নিউটন এলাকায় থাকাকালীন পাড়ার যুবকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ভিকির। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, ওর যখন বয়স ১৮-১৯ বছর, তখন থেকেই আলাপ। প্রথম থেকেই রং চড়িয়ে কথা বলত ভিকি। কখনও বলত, বাবা সরকারি চাকরি করেন। তাদের অনেক টাকা। কলকাতায় প্রচুর সম্পত্তি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। বাবা-কাকাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয় বলে তারা সেখানে থাকে না। যদি তাদের এত টাকাই থাকে, তাহলে তারা কেন ভাড়া বাড়ির এক চিলতে ঘরে থাকবে, এই প্রশ্ন উঠেছিল প্রতিবেশীদের মনে। তার ভাইকে স্কুলে যেতে দেখলেও ভিকিকে কেউ কখনও স্কুল বা কলেজে যেতে দেখেননি। তার লম্বা-চওড়া কথা যে পুরোটাই মিথ্যা তা বুঝতে পেরেছিলেন পড়শিরা।
নিউটনের পর ভগবানপুর, শেষে নাইয়াপাড়ায় ভাড়া থাকত ভিকি ও তার মা। দীর্ঘদিন ধরেই বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদের। ডায়মন্ডহারবার থেকে প্রতিদিন কলকাতায় এসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ভিকি। কিন্তু তার ঠাঁটবাট দেখে মনেই হতো না যে, সে একজন সাধারণ নিরাপত্তা কর্মী। এমনটাই জানিয়েছেন তার কাকা। তাঁর কথায়, বছর খানেক আগে একবার ভিকি তাঁর কাছে এসেছিল। সেদিন স্যুটেড-বুটেড ভিকি বলেছিল, সে এখন মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ার। বাংলা বা হিন্দি নয়, অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছিল মাধ্যমিক ফেল ভিকি। আমাকে বলেছিল, বাবাকে নিয়ে সে অন্য কোথাও থাকবে। পুরনো সব তিক্ততা ভুলে যাওয়ারও অনুরোধ করে সে। শেষ পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে যায় বাবাকে। এবং সেখানে বসেই মাকে সঙ্গে নিয়ে খুন করার ছক কষে। সেই মামলা এখন ডায়মন্ডহারবার কোর্টে চলছে। স্ত্রী ও ছেলের এমন কীর্তির জন্য তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেছেন ভিকির বাবা সুভাষ হালদার। তিনি বলেন, এর আগেও ওরা একাধিক অপরাধ করে থাকতে পারে, যা আমরা জানি না। টাকার জন্য এই সব করে ওরা। স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই এখন। ওদের শাস্তি পাওয়াই উচিত।