কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পূজার ঘর থেকে হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। তাতে লেখা আছে: মনোজিত চলে গেল। সামান্য ঝগড়াই হয়েছিল আমাদের মধ্যে। বিনা কারণে যে চলে গেল, তার জন্য এখন আমাকেই দায়ী করবে সবাই। আমার পরিবারকেও দায়ী করবে। তাই যাচ্ছি। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজিৎ ও পূজার মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেটা এলাকায় অনেকে জানতেন। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মনোজিৎ আত্মঘাতী হয়েছেন এটা জানার পর একজন ফোন করে পূজাকে মনোজিতের ভাড়া বাড়িতে আসতে বলেন। সেখানেই পূজা বলেন, আমিও আর বাঁচতে চাই না। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে যান। মৃতা তরুণীর মা মিতু শীল জানিয়েছেন, রাতে তাঁর দুই মেয়ে খাওয়াদাওয়া করে একই ঘরে শুয়েছিলেন। বড় মেয়ে রাতে একবার বাথরুমে গেলে সেই সুযোগে পাখার সিলিংয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন পূজা।
ন’পাড়া এলাকায় ভাস্কর সেনগুপ্তের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মনোজিৎ। ভাস্করবাবু জানিয়েছেন, বুধবার তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়েছিল। রাতে পুজোর প্রসাদ দিতে গিয়ে দেখা যায়, মনোজিৎ যে ঘরে থাকতেন, সেটি ভিতর থেকে বন্ধ। ঘরও অন্ধকার। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় উপরের টালি খুলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। একটি ওড়নাতে দেহটি ঝুলছিল। ওড়নাটি পূজারই কি না, সেটা অবশ্য তিনি জানেন না। এরপর তাঁরা পুলিসে খবর দিতে থানায় যান। তখন পূজা সেখানে এসেছিলেন বলে তাঁরা শুনেছেন। তবে মনোজিতের ঘর বন্ধ থাকায় সেখানে ঢুকতে পারেননি। মনোজিতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তর জন্য শ্রীরামপুর হাসপাতালে দিয়ে ফিরে আসার পর তাঁরা শোনেন, পূজাও আত্মহত্যা করেছেন। দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য একই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। উত্তরপাড়া থানার পুলিস জানিয়েছে, মনোজিতের বর্ধমানের বাড়িতে খবর দেওয়ার পর সেখান থেকে পরিবারের লোকেরা এসেছেন।