কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কার্য ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ দাস বলেন, পুজোর আগে থেকেই কৃষকদের এই ফোয়ারা সেচ যন্ত্রাংশগুলো দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পর আবার নতুন করে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এই যন্ত্রাংশগুলোর সাহায্যে খুব অল্প জলে চাষ করা সম্ভব। একদিকে যেমন এর ব্যবহারে সব্জি, বাদাম, আলু চাষ ভালো হবে অন্যদিকে আরামবাগে ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমার যে বিপদ তৈরি হয়েছে তা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে। গ্ৰীষ্মের সময়এখানকার নদীগুলোতে বেশি জল থাকে না, আবার বর্ষার সময় জলে ডুবে যায় এই এলাকাগুলো। এই ফোয়ারা সেচ যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এবার কৃষকরা জলের জোগান দিতে পারবে। ন্যূনতম ০.৪ হেক্টর কৃষিজমি যেসব কৃষকদের আছে তাঁরা ব্লকে বা পঞ্চায়েতে গিয়ে এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। জমিতে জল দেওয়ার ফোয়ারা পাইপগুলোর দৈর্ঘ্য ৩০৭ ফুট। এই ফোয়ারা পাইপগুলোর জন্য কৃষকদের দিতে হবে ১৯৭৪ টাকা। বাদবাকি ১৬,৪৪৭ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। আরামবাগ ব্লকের ১৫ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ৫০০ কৃষককে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে। পুজোর আগে বিভিন্ন গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ৪৩ জন কৃষককে এই ফোয়ারা পাইপ দেওয়া হয়েছে। পুজোর পর অফিস খুললেই বাকিদের দেওয়া শুরু হবে।
সালেপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কৃষক দেবব্রত দে বলেন, চাষবাসের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে জমিতে জলের ব্যবস্থা থাকলে চাষ ভালো হয়। নানাধরনের সব্জি, আলু, বাদাম চাষের ক্ষেত্রে অল্প জল হলেই চলে। চাষের জন্য এই ফোয়ারা সেচ পাইপ পেয়ে খুবই উপকার হয়েছে। এর জন্য সেচ দপ্তরের তরফ থেকে বেশিরভাগ টাকাটাই দেওয়া হচ্ছে। কোনও সন্দেহ নেই বর্তমান সরকার সবরকমভাবে চাষের উন্নতিতে আমাদের সহযোগিতা করছে। চন্দ্রকান্ত দে বলেন, সালপুরে আমার কিছু জমি আছে। নানাধরনের সব্জি, আলু চাষ করি। পুজোর আগেই সেচ ফোয়ারা পাইপ পেয়েছি। এতে অল্প জলেই যেমন চাষবাস হবে তেমন ভূগর্ভের জলের অপচয় কম হবে। ব্লক ও পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এই ফোয়ারা পাইপ ব্যবহারে আমাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিরোল গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুর সুকুর বলেন, পুজোর আগেই এই সেচ যন্ত্রাংশগুলো ব্লক থেকে আমাদের দেওয়া হয়। যেগুলো পেয়েছিলাম সেগুলো স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। আশা করছি এখানকার কৃষকরা উপকৃত হবেন।