সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
মা-ছেলের ছোট্ট সংসার অভিনয় থেকে রোজগারের টাকাতেই চলে যেত। সঞ্চিত অর্থে উত্তর কলকাতার মানিকতলার বুকে তৈরি করেছেন নিজের একটি বাড়িও। কিন্তু হঠাৎই করোনার দাপটে জীবন যেন তছনছ হয়ে গেল। গত দু’বছর ধরে সেভাবে কাজ পাচ্ছেন না সুপর্নাদেবী। ‘মিঠাই’ ছাড়া নেই কোনও ধারাবাহিক কিংবা সিনেমার অফার। ফলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে অর্থাভাব। সংসারে নিজের বলতে একমাত্র ছেলে। বিশেষভাবে সক্ষম সেই সন্তানের চিকিৎসায় প্রয়োজন টাকার। কিন্তু সামান্য ফিজিওথেরাপিটাও বন্ধ রাখতে হয়েছে অর্থের পর্যাপ্ত জোগান না থাকার কারণে। দু’বেলা দু-মুঠো ভাতের সংস্থান করাটাই যে দুষ্কর হচ্ছে ক্রমশ। অভাবে এতটাই যে বাড়িতে সামান্য একটা স্মার্ট ফোনও নেই। সঞ্চয় প্রায় শেষ। তাই বাধ্য হয়েই সোনার গয়নাগুলি বন্ধক দিতে হচ্ছে একে একে। কিন্তু এভাবে কতদিন? সাহায্য নয়, দরকার কিছু কাজের। অভিনয় করতে চান আগের মতই। কিন্তু করোনার গ্রাসে এখন সবটাই তো অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে ‘সংবেদন’। যখন যেমন প্রয়োজন, তেমন ভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সংস্থাটি। অভিনেত্রীর মনোবল বাড়াতে বাড়ি গিয়ে সিনে জগতে অবদানের জন্য সংবর্ধনাও দিয়েছে তাঁকে।
সুপর্ণাদেবীর কথায়, এই বয়সে লোকের কাছে হাত তো পাতা যাবে না। তাছাড়া অভিনয়টাই তো পেশা। ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েকটা সিনেমা বা ধারাবাহিক পেলে সংসারটা বাঁচত। বন্ধক দেওয়া গয়নাগুলিকেও ছাড়িয়ে আনার দরকার। ওগুলির সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে যে!