নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রতি বছর দুর্যোগে মাটির বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্লাবিত হয় এলাকা। জলের তোড়ে মাটির বাঁধের ক্ষয় ঠেকাতে বিভিন্ন প্রকারের ঘাস রোপণের নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পরীক্ষামূলকভাবে ধানি ঘাস রোপণের কাজ শুরু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনবিভাগ। পাথরপ্রতিমার ভগবতপুরে একটি মাটির বাঁধে ধানি ঘাসের চারা রোপণ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী ব্লকগুলিতে এভাবেই এই ঘাস বসিয়ে দেখা হবে এর কার্যকারিতা। আঞ্চলিক বন আধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। এর কার্যকারিতা বোঝার জন্য বছরখানেক সময় লাগবে। তবে শুধু ধানি ঘাস নয়, অন্যান্য গোত্রের ঘাসও আছে, তার মধ্যে কোনগুলি এই মাটিতে বসালে কাজে দেবে, তা নিয়েও চর্চা চলছে। যশ ও ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে এবার সব থেকে বেশি নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় মাটির বাঁধ থাকায় এই বিপত্তি আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। কংক্রিটের বাঁধ যেমন একটা সমাধান, তেমনই বাঁধের মাটি ক্ষয় হওয়া থেকে আটকাতে বিকল্প আর কী পদক্ষেপ করা যায়, তার উপর জোর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে আসে ভেটিভার ঘাস বসানোর প্রসঙ্গও। কিন্তু দক্ষিণের নোনা মাটি বা জলে এই ঘাস কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ প্রশাসন।
তবে আপাতত অন্যান্য প্রজাতির ঘাস রোপণ করে পরীক্ষা করে নিতে চাইছে বনবিভাগ। সেই মতো আপাতত পাথরপ্রতিমা দিয়ে এই কাজ শুরু হয়েছে। অনেকটা জায়গা জুড়ে এই ঘাসের চারা পোঁতা হয়েছে। তবে আসন্ন দু’টি কোটালে এই ঘাসের উপকারিতা বোঝা যাবে না। তার জন্য অন্তত এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। গোসাবা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলির একাংশ, রায়দিঘি, সাগর সহ অন্যান্য ব্লকে নদী বাঁধের সমস্যা প্রবল। তাই প্রতিটি ব্লকে আট-দশটি করে মাটির বাঁধ বেছে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই এমন ঘাসের চারা পোঁতা হবে বলে ঠিক হয়েছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, এই ঘাস রোপণের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।