নির্মাল্য সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: মুকুল রায় পদ্ম শিবির ছাড়তেই বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপিতে। কার্যত ভাঙনের ভয়েই বিজেপি নেতৃত্ব এখন ঘর সামলাতে উঠেপড়ে লেগেছে। এজন্য নেতৃত্ব বৈঠকেও বসতে চলেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ রবিবার ওই বৈঠক হবে। ভোটের আগে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন এবং যাঁরা আবার ফিরে যাবেন বলে পা বাড়িয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। বিজেপির আশঙ্কা, দলে থেকে শাসক দলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলা এমন নেতা-কর্মী সক্রিয় ও একনিষ্ঠ কর্মীদের মনোবল ভাঙতে পারে। এতে দলের অন্দরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের নেতারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, এমনকিছু কর্মী আছেন, যাঁরা যখন যেদিকে স্রোত, সেদিকেই গা ভাসান। আর আমরা কাউকে জোর করে দলে ধরে রাখতে পারি না। যাঁরা যাবার, তাঁরা যাবেন। আমরা প্রয়োজন হলে ফের নতুন করে শুরু করব। জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, অন্তত ৮-১০ জন নেতা বিজেপি ছাড়বেন। এর মধ্যে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে শোনা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে বিধানসভা ভোটে সদরের বিজেপি প্রার্থী সৌজিৎ সিংহ সহ প্রবাল রায়, শিবশঙ্কর দত্ত সহ কয়েকজন রয়েছেন। যদিও এপ্রসঙ্গে সৌজিৎবাবু বলেন, মুকুলবাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও আমি দলের প্রতি অনুগত। তৃণমূলে যাওয়ার কোনও চিন্তাভাবনা নেই।
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিক বলেন, দলের তরফে আমাদের গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। যাতে নেতা-কর্মীদের দলের কাজে লাগানো হয় ও গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা সেটাই করছি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী বলেন, ভোট মিটতেই জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা আমাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। আমরা জেলা নেতৃত্ব এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। বিষয়টি বিবেচনা করবে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি ছাড়ার হিড়িক নিয়ে তিনি বলেন, ওদের দলে কোনও শৃঙ্খলা নেই। ওদের দলে এখন পাঁচ, ছটি করে গ্রুপ। যার জন্যই শুক্রবার জলপাইগুড়ির সাংসদ আক্রান্ত হয়েছেন।