সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
তবে বিজেপি এখনও পর্যন্ত শাসক দলের ‘চাপ’-এর কাছে মাথা নত করার মনোভাব দেখাচ্ছে না। অন্তত মুখে তারা সেই মনোভাব বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত বিধানসভার বাম-কংগ্রেস জোটের মতো তাদেরও ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়ার দাবিতে অনড় থাকতে চাইছে। এমনকী, পিএসি চেয়ারম্যানের পদে তাদের সুপারিশ করা নামের ব্যাপারেও তারা লড়াই চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দাবির ধারেকাছে সংখ্যা না পেলে তারা একটি চেয়ারম্যান পদও নেবে না, এমন পাল্টা চাপের পথও খোলা রাখতে চাইছে বিজেপি। ফলে অধিবেশনের আগেই সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিধানসভা সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি সদন কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সরকারি চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ তৎপর হয়েছেন। দলের সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা চালানোর দায়িত্বে পার্থবাবুই। দিন কয়েক আগে তাঁরই কথামতো অধ্যক্ষের সচিবালয় থেকে বিজেপিকে পিএসিসহ ১০টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়। পরে বিজেপির হুইপ মনোজ টিগ্গাকে ডেকে যে তালিকা ধরানো হয় তাতে আরও পার্থবাবুর হাতে থাকা শিল্পদপ্তরের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদটিও বাদ রাখা হয়। টিগ্গা অবশ্য সেদিনই তাঁদের আপত্তির কথা জানান। পরে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন। তার ভিত্তিতে পার্থবাবু-নির্মলবাবুদের ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদের দাবিতে অনড় থাকার কথা জানান।
শনিবার টিগ্গা বলেন, সোমবার আমাদের তরফে কমিটির সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নাম জমা দেওয়া হবে। তার আগে একদফা আলোচনাও হতে পারে। তবে একটা কথা স্পষ্ট বলছি, বিজেপিকে ভিখারি ভাবলে ভুল করবে শাসকপক্ষ। তেমন হলে কোনও চেয়ারম্যান পদ নেব না। অন্যদিকে নির্মলবাবু বলেন, বিধায়ক ও কমিটির সংখ্যার অনুপাতে চেয়ারম্যান পদ ভাগাভাগি করা হচ্ছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষই নেবেন।