সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক কেন্দ্রে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হলেও পোস্টাল ব্যালটে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বিরোধী দলের পরাজিত প্রার্থীদের থেকে কম ছিল। কিন্তু, এবার সেই চিত্র দেখা যায়নি। পোস্টাল ব্যালটেও ঢেলে ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। যেমন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র পোস্টাল ব্যালেটে যেখানে ৩১৩টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তাপস রায় পেয়েছেন ৮৫৯টি। কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২টি ভোট পেয়েছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্র পেয়েছেন ৩৫৪টি ভোট। পানিহাটিতে বিজেপি প্রার্থী সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩১টি ভোট পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল ঘোষ পেয়েছেন ৫০১টি ভোট পেয়েছেন।
খড়দহেও বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত যেখানে ২৯৫টি পোস্টাল ব্যালেটের ভোট পেয়েছেন, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিনহা পেয়েছেন ৩৯৪টি। বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লা ৪১০টি ভোট পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী পেয়েছেন ৪৪৬টি। নোয়াপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী সুনীল সিং পোস্টাল ব্যালেটে ৩৯৮টি ভোট পেয়েছেন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মঞ্জু বসু পেয়েছেন ৬৮৮টি ভোট। জগদ্দলে বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য ৪৪৫টি ভোট পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সোমনাথ শ্যাম পেয়েছেন ৭৬৪টি ভোট। নৈহাটিতে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্র যেখানে ৪১৭টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক পেয়েছেন ৮২৮টি ভোট। বীজপুরেও বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় ৪০৫টি ভোট পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুবোধ অধিকারী পেয়েছেন ৬৭১টি ভোট। একইভাবে দমদমেও বিজেপি প্রার্থী বিমলশঙ্কর নন্দ যেখানে ২৩০টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রাত্য বসু ৪৫৬টি ভোট পেয়েছেন। দমদম উত্তরেও বিজেপি প্রার্থী বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার ২২৭টি ভোট পেলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৩৮৭টি ভোট। কেবলমাত্র ভাটপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে মাত্র ২২টি ভোট বেশি পেয়েছে বিজেপি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জিতেন্দ্রনাথ সাউ ১৭২টি ভোট পেলেও বিজেপি প্রার্থী পবনকুমার সিং ১৯৪টি ভোট পেয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর মনোজকুমার চক্রবর্তী বলেন, বাংলার ঐতিহ্য, শান্তি, সংস্কৃতি ও কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সকলকে আহ্বান করেছিলাম, সকলে যেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী সে-কথা রেখেছেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উপরেই ভরসা রেখেছেন। তাই যাঁরা পোস্টাল ব্যালেটে সমর্থন দিয়েছেন, তাঁদের সকলকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।