সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নৌশের আলি কক্ষে বিধায়কদের শপথগ্রহণ হয়। কিন্তু এবার কোভিড পর্বে বিধানসভার মূল সদনের ভিতরেই ছোট ছোট গ্রুপ করে বিধায়কদের শপথ পর্ব চলবে। কে কোন সময়ে শপথ নেবেন, তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকরা বিধায়কদের অবহিত করবেন। বিধানসভার সচিবের তরফে এদিন জেলাশাসকদের সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে নতুন বিধায়কদের ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করানো যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। নতুন সরকার গঠন এবং বিধায়কদের শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার এই আবর্তের মধ্যেই এদিনই পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ ভোট-রাজ্য থেকে ‘মডেল কোড অব কন্ডাক্ট’ বা আদর্শ আচরণবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এদিন তৃণমূল ভবনে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বিধায়কদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কোভিড সতর্কতার জেরে দূরের জেলার বিধায়কদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। বিধায়কদের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমোর নিদান—‘অহঙ্কার চলবে না। মানুষ জিতিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর সেই মানুষের পাশে থেকে তাঁদের কাজ করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে মা-মাটি-মানুষের সেবা। কোভিড পর্বে চলবে না কোনও বিজয় উৎসব-মিছিল। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কোনও গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না।’ মমতার সতর্কবার্তা—‘এমএলএ হয়ে গিয়েছি তাই বাড়িতে বসে থাকব, এমনটা চলবে না। নিরন্তর মানুষের কাজ করতে হবে। আগামী ৯ মে রবীন্দ্র জয়ন্তী। ওই দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে হবে।’ সূত্রের খবর, সম্ভবত রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনই টিম মমতার নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন।
অপরদিকে, রাজ্যের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নামের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের তরফে শুরু করা হয়েছে। জেলাওয়াড়ি বিধায়কদের নামের তালিকা রিটার্নিং অফিসাররা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তালিকাটি বই আকারে ছাপানোর কাজ এদিন রাতে হয়েছে। বিধায়কদের নাম সম্বলিত ওই বইটি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে দেবেন। বইয়ের অপর দু’টি কপি পাঠানো হবে নবান্ন এবং বিধানসভায়।