সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করার পরই তিনি বারাকপুরে এসে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এমনকী, কলকাতা ছেড়ে তিনি এখন বারাকপুরেই থাকছেন। ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছেন। প্রতিদিন হেঁটে বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। কোনও ক্লান্তি নেই তাঁর। বাড়ির দরজায় তারকা পেয়ে সকলেরই মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসও দেখা গিয়েছিল। প্রতিদিন হাজার হাজার সেলফির আবদার মেটাতে হয়ে তাঁকে। কিন্তু, একবারের জন্যও বিরক্ত হননি। উল্টে, নিজে সেলফি তুলে দিয়েছেন অনেককেই। শেষমেশ জয়ের সাফল্য মেলায় তিনি ভীষণ খুশি। ফলাফল হাতে পাওয়ার পর তিনি একান্তে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে প্রার্থী করেছেন। তাই এই জয় আমি তাঁকেই উৎসর্গ করতে চাই। পাশাপাশি, বারাকপুরের মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাব। কারণ, তাঁরা আমাকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করেছেন। সেই সঙ্গে বারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস এবং টিটাগড়ের পুর প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, তারকা, চিত্র পরিচালক হিসেবে নয়। আমি ঘরের ছেলে হয়েই বারাকপুরের মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাঁদের জন্য উন্নয়নের কাজ করতে চাই। এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই সবচেয়ে প্রথম কাজ হবে করোনা মোকাবিলা করা। তিনি বলেন, বারাকপুরে আমি দুষ্কৃতীরাজ খতম করার কথা আগেই বলেছি। এখনও বলছি, দুষ্কৃতীদের জেলের ভিতরে থাকতে হবে। তা না-হলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই আমি এলাকায় অশান্তি হতে দেব না। বারাকপুরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেই দিকটাও দেখব।
তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা প্রতিদিন আমাদের একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে ছোট করে গিয়েছে। তাঁকে সম্মান দেয়নি। সেই কারণেই আজ তারা ফিনিশ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দল কেউ করতেই পারেন। কিন্তু, আগে মানুষকে সম্মান করতে শিখতে হবে। মুখের ভাষা, শব্দচয়ন ঠিক করতে হবে। তা না-হলে সাধারণ মানুষই তাঁদের প্রত্যাখান করবে। এই ফলাফলই তার প্রমাণ।