সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
যেমন বারইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে ৩৬,৫৩২ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর জয়ের মার্জিন ৫০ হাজারের বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছে। আরেকটি কেন্দ্র হল বাসন্তী। এবার এখানে ক্যানিং পশ্চিমের বিদায়ী বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। দলকে নিরাশ করেননি তিনি।
২০১৬-র তুলনায় এই বিধানসভা থেকে এবার শ্যামলবাবু প্রায় তিনগুণের বেশি ভোট নিয়ে জিতেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তিনি যখন ক্যানিং পশ্চিম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখনও এত ভোটে জয়লাভ করেননি। গত বিধানসভায় কুলতলি কেন্দ্রটি সিপিএমের ঝুলিতে গিয়েছিল। সেবার বাম প্রার্থী ১১ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে জিতেছিলেন। এবারে এই কেন্দ্র থেকে যুবনেতা গণেশ মণ্ডলকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় ৫০ হাজার ভোটে তিনি জয়লাভ করেছেন। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হল বজবজ। গতবার এই কেন্দ্র থেকে সাত হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অশোক দেব। আর এবার আগের ব্যবধানের থেকে প্রায় ছয় গুণ বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। টালিগঞ্জ কেন্দ্রেও তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের জয়ের মার্জিন আগেরবারের তুলনায় এবার পাঁচগুণ বেশি হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় একাধিক কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান ১০ হাজারের নীচে ছিল। টালিগঞ্জ ছাড়াও বেহালা পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব এবং রায়দিঘিতে এই ছবি দেখা গিয়েছিল। পাঁচ বছর বাদে এই নির্বাচনে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান ১০ হাজারের উপরে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গতবার রায়দিঘি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী দেবশ্রী রায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে ১২২৯ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার অনেকেই আশা করেছিলেন, এই কেন্দ্র থেকে কান্তিবাবু জয়লাভ করবেন।
জেতা তো দূরঅস্ত, এবার এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন কান্তিবাবু। আর উল্টোদিকে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান এবার ২৯ গুণ বেশি হয়েছে। আগেরবারের তুলনায় এবার সোনারপুর উত্তর এবং দক্ষিণ কেন্দ্রে যথাক্রমে ১০ এবং ১৩ হাজার করে বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। বিগত বিধানসভা ভোটের নিরিখে শুধু নয়, ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটের সঙ্গে তুলনা করলেও দেখা যাচ্ছে, এবার একাধিক কেন্দ্রে ভোটের মার্জিন বাড়িয়েছে তৃণমূল। যেমন বারুইপুর পূর্ব কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৮ হাজারের কাছাকাছি ভোটে এগিয়ে ছিল। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বিভাস সর্দার ৪৯ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন এই কেন্দ্র থেকে।